More
    Homeখবরচিনে দারুণ জনপ্রিয় মোদি

    চিনে দারুণ জনপ্রিয় মোদি

    Today Kolkata:- চিনে দারুণ জনপ্রিয় মোদি । দেশে তার জনপ্রিয়তা কমছে বলে বিরোধীদের দাবী। রাহুল গাঁধীতো মনে করেন মোদি জমানা শেষ। বিদেশে গিয়েও রাহুল বলেছেন মোদীর হাতে লোকতন্ত্র খতম।রাহুল চিনের ভক্ত। তার বক্তব্য চিনের মত প্রতিবেশীর সঙ্গেও মোদীর সম্পর্ক খুব খারাপ। অথচ সম্প্রতি এক চিনের সাংবাদিক ও আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমে অন্য কথা বলছে। চিনে মোদি দারুণ জনপ্রিয়।

     

     

    চিরশত্রু চিনে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এতটা জনপ্রিয়ত হতে পারেন। এই বিতর্ক সত্বেও চিনের বিশ্বনেতাদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়। নানা দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। চিনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমেরিকার কূটনীতি বিষয়ক ম্যাগাজ়িন ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনা নাগরিকদের মধ্যে মোদী অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেখানে নাকি তাঁকে ‘মোদী লাওক্সিয়ান’ নামে ডাকা হয়। যার অর্থ ‘মোদী অমর’।

    Sujay Bhadra “কারোও কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেননি” – তাপস – কুন্তলের অভিযোগ খারিজ কালীঘাটের কাকুর সুজয় ভদ্রর।

    ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। উত্তরের সীমান্ত নিয়ে হামেশাই দুই দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে বৈরিতা। সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনাও বিরল নয়। ২০২০ সালে গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা চালিয়েছিল চিনা বাহিনী। সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের প্রাণ গিয়েছিল। ৪০ জন চিনা সেনারও মৃত্যু হয়।

     

    তবে সীমান্তে তিক্ততা সত্ত্বেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী চিনে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছেন। ডিপ্লোম্যাট’-এ প্রকাশিত মোদী সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির নাম ‘ভারত সম্পর্কে চিনের কী মনোভাব?’চিনের জনপ্রিয় সমাজমাধ্যমের বিশ্লেষক তথা সাংবাদিক মু চুনশান সেই প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, চিনের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, মোদীর নেতৃত্বেই ভারত বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে। তিনি লিখেছেন, ‘‘চিনের সমাজমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সুন্দর একটি ডাকনাম আছে। তা হল, ‘মোদী লাওক্সিয়ান’।

     

    লাওক্সিয়ান কথার অর্থ, এক প্রবীণ ব্যক্তি যিনি অমর। তাঁর বেশ কিছু অলৌকিক ক্ষমতাও রয়েছে। মোদীকে এই নাম দেওয়ার অর্থ, চিনের নেটাগরিকেরা মনে করেন, মোদী আর পাঁচ জন রাষ্ট্রনেতার চেয়ে আলাদা।’’মোদীর পোশাক, বাহ্যিক ভাবমূর্তিতে ‘লাওক্সিয়ান’-এর সঙ্গে মিল খুঁজে পান চিনারা। তা ছাড়া, তাঁরা এ-ও পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, মোদীর কিছু কিছু নীতি ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানদের চেয়ে ভিন্ন। রাশিয়া, আমেরিকা-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে মোদীর নেতৃত্বে ভারতের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তা-ও তাঁর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন চিনের নেটাগরিকেরা।

     

    সাংবাদিক চুনশান আরও জানিয়েছেন, গত ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পর্যবেক্ষণে চিনা নাগরিকদের এই দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর আগে কখনও চোখে পড়েনি। অন্য কোনও রাষ্ট্রনেতাকে তাঁরা ডাকনাম দেননি। ফলে মোদী যে চিনের জনমানসকে কোনও না কোনও ভাবে প্রভাবিত করতে পেরেছেন, এবং সে প্রভাব যে ইতিবাচক, তা সমাজমাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা থেকেই স্পষ্ট।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments