ফকত মারাঠি, বক্স সিনেমা ও মহা মুভি। বুধবার মহারাষ্ট্রের এই তিনটি চ্যানেলের ৩২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট। অভিযোগ, তারা কারচুপি করে নিজেদের টিআরপি বাড়িয়ে দেখাত। ইডি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনটি টিভি চ্যানেল অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছিল। টিআরপি বাড়িয়ে দেখানোর জন্য তারা নানারকম জালিয়াতি করত। ওইভাবে তারা বাড়তি বিজ্ঞাপন আদায় করত। টিআরপি-র মাধ্যমে কোনও চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বোঝা যায়। যে চ্যানেলের টিআরপি বেশি, তাতেই বিজ্ঞাপন দিতে আগ্রহী হয় বিভিন্ন সংস্থা। কোন চ্যানেলের কত টিআরপি, তার হিসাব রাখে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল নামে এক সংস্থা। তারা নির্দিষ্ট কয়েকটি বাড়িতে বার-ও-মিটার বসায়। তার মাধ্যমে জানা যায়, কোন চ্যানেল কত বেশি সময় ধরে চলছে। এই বার-ও-মিটার বসানোর কাজটি করে হংস রিসার্চ গ্রুপ লিমিটেড নামে এক সংস্থা। তদন্তে জানা গিয়েছে, কোন কোন বাড়িতে বার-ও-মিটার বসানো হচ্ছে, তা ঘুষ দিয়ে আগেভাগে জেনে নেওয়া হত। তারপর সেই বাড়ির লোকজনকে ঘুষ দেওয়া হত। বিনিময়ে তারা নির্দিষ্ট কয়েকটি চ্যানেল সারাক্ষণ চালিয়ে রাখত। ফলে ওই চ্যানেলগুলির টিআরপি বাড়ত। এইভাবে চ্যানেলগুলি বাড়তি বিজ্ঞাপন আদায় করত।এর আগে মুম্বইয়ে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে টিআরপি কেলেংকারির অভিযোগ ওঠে। মুম্বই পুলিশ অভিযোগ করে, টিভি রেটিং এজেন্সির প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্ত অর্ণবের হয়ে টেলিভিশন রেটিং পয়েন্টে কারচুপি করতেন। সেজন্য পার্থবাবুকে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকা। ওই অভিযোগে গ্রেফতার হন পার্থবাবু। পুলিশের বক্তব্য, রিপাবলিক টিভির দর্শকের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর জন্য একটি চক্র কাজ করত। পার্থবাবু ছিলেন তার পাণ্ডা।পার্থবাবু বাদে টিভি রেটিং এজেন্সির আর এক কর্তার বিরুদ্ধেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর নাম রোমিল রামঘরিয়া। তিনি এজেন্সির সিওও ছিলেন। অভিযোগ, ঘুষ নিয়ে তিনি কয়েকটি চ্যানেলকে নানা গোপন তথ্য জানিয়ে দিতেন। রিপাবলিক টিভির হিন্দি ও ইংরেজি চ্যানেলের দর্শক বাড়িয়ে দেখাতে সাহায্য করতেন। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ জানিয়েছে, পার্থবাবু তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে রিপাবলিক ভারত ও রিপাবলিক টিভির টিআরপি বাড়িয়ে দেখাতেন।