লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। কিন্তু লাইনচ্যুত হওয়ার কারণটা কি ছিল? এই নিয়ে গতকাল থেকে প্রশ্ন উঠেছে অনেক। এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল এ প্রসঙ্গে। ট্রেন ইঞ্জিনের ট্রাকশন মোটর ভেঙে পড়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাকশন মোটর খুলেই লাইনচ্যুত বিকানের এক্সপ্রেস, চাঞ্চল্যকর তথ্য ময়নাগুড়ি দুর্ঘটনার
Read More-নাশকতার ছক? দিল্লির গাজিপুর ফুলের বাজারে উদ্ধার IED ভর্তি ব্যাগ!
ট্রাকশন মোটরের কাজ মূলত ইঞ্জিনের অ্যাঙ্গেল গুলি কে পরিচালনা করা। কিন্তু কোনভাবে ওই ট্রাকশন মোটরটি খুলে পড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ইঞ্জিনটি।
রেলওয়ে এক্সপার্টরা এ বিষয়ে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বলেন একটি ইঞ্জিনের ছটি ট্রাকশন মোটর থাকে। কিন্তু ওই ছটি ট্রাকশন মোটর এর মধ্যে একটি ট্রাকশন মোটার ভেঙে রেলের স্লিপার এর উপরে গিয়ে পড়ে। যার কারণে প্রথমে রেলের দুটি চাকা ট্র্যাক থেকে নেমে যায় বলে অনুমান করেন। ট্রাকশন মোটর খুলে যাওয়াই স্বাভাবিক ভাবেই ট্রেনের চাকা নিয়ন্ত্রণ করতে বাধা আসে লোকো পাইলট এর। তিনি বুঝতে পারেন ট্রাকশন মোটরে কোনরকম গন্ডগোল তৈরি হয়েছে। তখনই তিনি এমার্জেন্সি ব্রেক প্রয়োগ করেন। যা গতকাল যাত্রীরা জানিয়েছিল , যার জন্যই তাদের দুবার বিরাট ঝাঁকুনি অনুভব হয়।
ওই মুহূর্তে ট্রেনের গতিবেগ অনেকটাই ছিল তাই একেবারে দাঁড়ানো কখনোই সম্ভব ছিল না। ইমারজেন্সি ব্রেক প্রয়োগ করার ফলে যেহেতু ট্রেনের কোচগুলি ICF ছিল তাই একটি অপরটির উপরে চেপে যায়। যার কারণে এই বিরাট দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ির দোমহনিতে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে এসে উপস্থিত হন রেলমন্ত্রী। তিনিও ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটিতে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উনি দেখিয়েছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত উচ্চ তদন্তকারী দল এ বিষয়ে প্রত্যেকটি তথ্য খতিয়ে দেখবে। তার পরই জানা যাবে এই মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার আসল কারণ। তবে এখনো প্রশ্ন উঠেছে দূরপাল্লাগামী ট্রেন চলাচলের আগে এ সমস্ত বিষয়গুলি সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি কেন?