শুক্রবার সকালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী দুর্গা স্ট্যালিন, ছেলে উদয়নিধি এবং বোন কানিমোঝি। উদয়নিধি নিজেও এবার চেন্নাইয়ের একটি কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হয়েছেন। এবার স্ট্যালিন ‘পোল স্ট্র্যাটেজিস্ট’ হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোরকে। তিনিও এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিজের হাতে রেখেছেন স্ট্যালিন। এছাড়া তাঁর হাতে আছে প্রতিবন্ধী কল্যাণ দফতর। ৬৯ বছর বয়সে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হলেন স্ট্যালিন। এর আগে কখনও এত বেশি বয়সের কোনও রাজনীতিক তামিলনাড়ুতে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হননি। স্ট্যালিনের বাবা এম করুণানিধি পাঁচবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি বিধায়ক হয়েছিলেন সাতবার। দু’বার চেন্নাইয়ের মেয়র হয়েছিলেন। তামিলনাড়ুতে কোভিড সংকট এখন গুরুতর রূপ ধারণ করেছে। শুক্রবার সকালে জানা যায়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার জন। ভোটের আগে প্রতিটি বড় দলই জনসমাবেশ, মিছিল ও মিটিং করেছিল। তার ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। সেজন্য মাদ্রাজ হাইকোর্ট তীব্র তিরস্কার করেছে নির্বাচন কমিশনকে। কোভিড সংকটের মোকাবিলা করাই এখন স্ট্যালিনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সাংসদ কানিমোঝি তাঁর ভাইয়ের প্রতি আস্থা জানিয়ে বলেন, কোভিড মোকাবিলায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। স্ট্যালিনের মন্ত্রিসভায় আছেন ১৯ জন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং দু’জন মহিলা। জলসম্পদ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রবীণ ডিএমকে নেতা দুরাইমুরুগনকে। তিনি কাটপাডি অঞ্চল থেকে ছ’বার বিধায়ক হয়েছেন। অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বে আছেন অপর প্রবীণ নেতা পালানিভেল থিয়াগারাজন। ভোটের প্রচারে স্ট্যালিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, গরিব পরিবারগুলিকে ৪ হাজার টাকা করে ফুড রিলিফ দেওয়া হবে। মহিলাদের বাসে ভাড়া লাগবে না। প্রতি বছর ১০ লক্ষ যুবক-যুবতীকে চাকরি দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে আছেন এম এ সুব্রমনিয়াম। রাজ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকেই। তিনি একসময় চেন্নাইয়ের মেয়র ছিলেন। তামিলনাড়ুর হাসপাতালগুলিতে এখন কোভিড রোগীদের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক বেড পাওয়া যাচ্ছে না। স্ট্যালিন বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তারা যেন সস্তায় কোভিড রোগীদের জন্য বেডের ব্যবস্থা করে।