এবার মঙ্গলবার রাতে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমানের পালিতপুর। যদিও এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিজেপির। সংঘর্ষে জখম হন দুজন। জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত পালিতপুর গ্রামের একটি হোটেলের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে। সেখান থেকেই তা সংঘর্ষের রূপ ধারণ করে। তারপর পালিতপুর গ্রামে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনায় দুজন তৃণমূল কর্মী আহত হন। আহতরা হলেন শেখ ডালিম এবং শেখ জাহাঙ্গীর। তাদের মাথায় চোট লাগে। এরপরই ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছান ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সৌভিক পাত্র, বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
আহত দুই তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে চিকিত্সকরা জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতরও। এই ঘটনায় নিজেদের মত করে যুক্তি সাজাচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। দু দলের বয়ান দু রকম। এই সংঘর্ষের ঘটনার বিষয় এলাকার বাসিন্দা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক শেখ আনামত জানান, এলাকায় তাদের সমর্থকের একটি হোটেলে ভাঙচুর করা হয়। করা হয় লুঠপাটও। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সশস্ত্র বিজেপি সমর্থকেরা লাঠি টাঙি নিয়ে এসেছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে, এই ঘটনায় জেলা বিজেপির সম্পাদক শ্যামল রায়ের দাবি ঠিক উল্টো। তিনি বলেন, এটা তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের বিষয়ই নয়। ওই হোটেলে মদ ও নেশার জিনিস বিক্রি হয়। এলাকার মানুষ বারবার অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় আবারও আপত্তি করতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় কিছু লোক।
পাশাপাশি জেলা বিজেপির সম্পাদকের দাবি, যাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলা হচ্ছে তারা ওই গ্রামের লোকই নয়। বাইরে থেকে এসেছিল। তারাই গ্রামের মানুষের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও জানান ওই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো অস্তিত্ব আর নেই। বেশিরভাগ মানুষই বিজেপির অনুগামী। তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাসকদল বলেও কটাক্ষ করেন জেলা বিজেপির সম্পাদক শ্যামল রায়। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে এই এলাকা। মঙ্গলবারের ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকাবাসী। চলছে পুলিশি টহল।