দিল্লি এইমসে বুধবার রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। অবশেষে দমকলের ২২ টি ইঞ্জিনের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এল দিল্লি এইমসের আগুন। তবে প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। কারও আহত হওয়ারও খবর নেই। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা নমুনা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ দিল্লি এইমসের ন’তলায় আগুন লাগে। তবে যেখানে আগুন লেগেছিল, সেখানে কোনও রোগী ছিলেন না। এইমস বিল্ডিংয়ের ওই অংশে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হত। তবে, ওই নবম তলেই বেশ কয়েকজন ফ্যাকাল্টি থাকেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। দমকলকর্মীদের অক্লান্ত চেষ্টায় ঘন্টা দুয়েক বাদে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দিল্লির ডেপুটি চিফ ফায়ার অফিসার সুনীল চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমরা সাড়ে ১০ টা নাগাদ দিল্লি এইমস থেকে একটি জরুরি ফোন পাই।
জানানো হয় করোনার নমুনা সংগ্রহ করে রাখা বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে দমকলের ২০-২২টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। এখনও ঘটনার জেরে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রাণহানি না হলেও ডায়াগনস্টিক বিভাগে আগুন লাগায় বেশ কিছু নমুনা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দমকলের অনুমান ন’তলায় একটি রেফ্রিজারেটর থেকে শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগেছে।