More
    Homeজাতীয়দীপাবলীতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন চীনা পন্যের

    দীপাবলীতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন চীনা পন্যের

    আসন্ন দীপাবলী ও অন্যান্য উত্‍সবের আগে ভারতে চীনা পণ্যের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)-এর মতে, এবার চীনা রপ্তানিকারকরা আনুমাণিক ₹৫০,০০০ কোটির টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতীয়রা দেশীয় বাজারে চীনকে বয়কট করা শুরু করেছে।

    এমনিতে চীনের বাজি বা দীপাবলীর সময় ঘর সাজানো লাইটের দাম ভারতে তৈরি সামগ্রীর থেকে অনেকটাই কম। কিন্তু ভারতীয়রা এই মরসুমে চীন থেকে পটকা এবং অন্যান্য সস্তা উত্সব পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। ফলে দেশীয় শিল্পীদের মুনাফা বাড়ছে। ‍’আত্মনির্ভর ভারত’-এর ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    শুক্রবার জারি করা একটি বিবৃতিতে, ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি (সিএআইটি) বলেছে, উত্‍সবের মরসুমের আগে সারা দেশের বাজারে গ্রাহকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে প্রস্তুত পণ্যের বিক্রয় এই দীপাবলিতে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় অর্থনীতি দীপাবলির বিক্রির সময় ভোক্তাদের খরচের মাধ্যমে ₹দুই লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন দেখা যেতে পারে। সিএআইটি শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‍’গত বছরের মতো, এই বছরও সিএআইটি চীনা পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে এবং এটি নিশ্চিত যে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্বারা চীনা পণ্য আমদানি বন্ধের ক্ষেত্রে চীন প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে।’

    আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সম্প্রতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, তা হল, দেশের প্রধান শহরগুলির গ্রাহকরা বাস্তবিকই চীনা পণ্যের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে পারে। সিএআইটি-এর সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীন খান্ডেলওয়াল বলেছেন, ‍’সম্প্রতিক ২০টি ডিস্ট্রিবিউশন সিটি-তে সংস্থার গবেষণা শাখা দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ব্যবসায়ী বা আমদানিকারকদের দ্বারা চীনা রপ্তানিকারকদের কাছে দীপাবলির পণ্য, আতশবাজি বা অন্যান্য আইটেমগুলির জন্য কোনও অর্ডার দেওয়া হয়নি।’

    এই ২০টি শহর হল- নয়া দিল্লি, আহমেদাবাদ, মুম্বই, নাগপুর, জয়পুর, লখনউ, চণ্ডীগড়, রায়পুর, ভুবনেশ্বর, কলকাতা, রাঁচি, গুয়াহাটি, পাটনা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মাদুরাই, পন্ডিচেরি, ভোপাল এবং জম্মু। এই প্রেক্ষাপটে, প্রতি বছর রাখি থেকে নববর্ষের দিন পর্যন্ত পাঁচ মাসের উত্‍সবের মরসুমে, ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং রপ্তানিকারকরা সাধারণত চীন থেকে প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করে থাকে। কিন্তু এবার রাখি উত্‍সবের সময়, ‘ড্রাগন’ ৫,০০০ টাকা₹ এবং তারপরে গণুশ চতুর্থীতে ফের ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদি একই প্রবণতা দীপাবলিতেও চলতে থাকে, তাহলে এটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করবে যে, শুধুমাত্র ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চীনা পণ্য বয়কট করছে না, ভোক্তারাও চীনে তৈরি পণ্য কেনার ইচ্ছা হারাচ্ছেন।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments