দেড়মণ দুধ আর আঠাশ ঘড়া গঙ্গাজল দিয়ে প্রথা মেনে স্নানযাত্রা হল মাহেশে। তবে স্নানপিঁড়িতে স্নান হল না এবার, করোনা বিধি মেনে মন্দিরেই স্নানযাত্রা হল জগন্নাথদেব-সুভদ্রা ও বলভদ্রের। ৬২৫ বছরের ঐতিহ্য রক্ষা হল এভাবেই। মন্দিরের সেবায়েত পিয়াল অধিকারী জানান, স্নানের পর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের। তখন লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগতের নাথ। এই সময় হয় অঙ্গরাগ। ভেষজ রঙ দিয়ে রাঙানো হয় জগন্নাথ দেবকে। দরজা বন্ধ থাকে গর্ভগৃহের। এরপর কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর ছাড়ে। তারপরেই হয় নবযৌবন উত্সব। পরদিন রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় প্রতিবছর। চলমান ইতিহাসের সাক্ষী হন মাহেশে আসা দর্শনার্থীরা। প্রতিবছর জগন্নাথ মন্দিরের সামনে স্নান পিঁড়ির মাঠে ধূমধাম করে হয় স্নানযাত্রা উত্সব। বহু ভক্তের সমাগম হয়। এবার অনাড়ম্বরে, অল্প কিছু ভক্তের উপস্থিতিতে দুধ গঙ্গাজল দিয়ে মন্দিরচত্বরেই স্নান করানো হল জগন্নাথ বলভদ্র সুভদ্রাকে। মন্দির কমিটি আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্নানযাত্রা উত্সব হবে না স্নান পিঁড়ির মাঠে। তাহলে রোখা যাবে না ভক্তদের ভিড়। করোনার গ্রাসে এবারেও মাহেশের রথের চাকা ঘুরবে না, সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টি কমিটি। তবে ধূমধাম করে রথযাত্রা উত্সব না হলেও রথ উপলক্ষে সব রীতিনীতি পালিত হবে। রথের দিন বৈদিক মতে সব রীতি পালন করা হবে। জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ মাসির বাড়ি না গেলেও নারায়ন শীলা নিয়ে মাসির বাড়ি যাবেন সেবাইতরা।