More
    Homeজাতীয়দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

    দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

    তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। দীর্ঘদিনের আন্দোলনেপ পর এই সিদ্ধান্ত নরেন্দ্র মোদীর। পঞ্জাব নির্বাচনের আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বড় হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি বলতে চাই যে হয়ত আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আন্দোলন ছেড়ে একটি নয়া সূচনা করি। শীঘ্রই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পূর্ণ করে দেব। এবার আপনারা সকলে খেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান।’

    প্রধানমন্ত্রী এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘গুরুনানকের প্রকাশ পর্ব। সকল দেশবাসীকে এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই উপলক্ষে খুলেছে কর্তারপুর করিডোর। গুরু নানকের বাতলে দেওয়া সেবার পথে হেঁটেই দেশবাসীর জন্য কাজ করছে সরকার। আমি গত পাঁচ দশকে কৃষকদের দুর্গতি দেখেছি। তাই ২০১৪ সালে যখন দেশ আমাকে নির্বাচিত করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়, তখন থেকে ছোট কৃষকদের জন্যে কাজ করতে চেয়েছি। আজকে গুরু পর্বে কারোর উপর দোষারোপ করার সময় নয়।’

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ছোট কৃষক। তাদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের কম। তাদের জীবনের আধার এই ছোট জমি। প্রায় ১০ কোটি এমন ছোট কৃষক আছে। এই ছোট জমিতেই তারা নিজেদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। তাই বীজ, বীমা, বাজার আর সেভিংসের ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমরা ফসল বীমা যোজনাকে আরও কার্যকরী করেছি। আরও বেশি সংখ্য কৃষককে এর অধীনে নিয়ে এসেছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিষাণ সয়েল হেলথ কার্ড দিয়েছি। এতে ফলন বেড়েছে। ছোট কৃষকদের ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কৃষকদের কষ্ট যাতে সঠিক দাম পায়, সেই কাজ করেছে সরকার। গ্রামীণ বাজারকে শক্তিশালী করেছি। আমরা এমএসপি বাড়িয়েছি। পাশাপাশি সরকার রেকর্ড পরিবার ফসল কিনেছে।’

    মোদী বলেন, ‘১০০০-এর বেশি মণ্ডিকে । দেশের মণ্ডিগুলিকে আধুনিক করতে কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছি। আমাদের সরকারের কৃষি বাজেট বিগত কয়েক দশকে সবথেকে বেশি। কৃষকদের বিস্তারের জন্য আমরা এই কাজ করছি। ছোট কৃষকদের শক্তি বাড়াতে তাদের সংগঠন তৈরির কাজ চলছে। মাইক্রো ইরিগেশন ফান্ড দুই গুণ করে ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। পশু পালন ও মত্সপালনের সঙ্গে যুক্ত কৃষকরাও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পেতে শুরু করে দিয়েছে। কৃষককদের সামাজিক পরিস্থিতি ভালো করতে আমাদের সরকার কাজ করছে।’

    মোদী আরও বলেন, ‘দেশের ছোট কৃষকদের কথা ভেবেই তিনটি কৃষি বিল আনা হয়েছিল। দেশের কৃষক সংগঠন, কৃষি অর্থনীতিবিদদের এই দাবি বহুদিনের। এর আগের সরকারও এই নিয়ে ভেবেছে। এরপরই সংসদে কৃষি বিল নিয়ে আলোচা করে বিল পাশ করানো হয়। কয়েক কোটি কৃষক এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। ভালো মনে এই আইন আনা হয়েছিল। কৃষকদে স্বার্থে আনা এই বিল আমরা কয়েকজনকে বোঝাতে পারিনি। কয়েকজন কৃষকই এর বিরোধিতা করছেন। তাও এটা আমাদের জন্য বড় বিষয়। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা তাদের কথাও বোঝার চেষ্টা করেছি। সরকার আইন বদলাতেও রাজি ছিল। এরই মাঝে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চলে গিয়েছে।’

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments