ধূপগুড়িতে পথদুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের
পাশে দাঁড়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি বলেন,জলপাইগুড়িতে দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই দুঃখের সময়ে, শোকাহত পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুক। PMNRF নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে ধূপগুড়িতে যেতে গিয়ে ভয়ানক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে কনেযাত্রীদের ৩টি গাড়ি। জানা গিয়েছে, ৩টি ছোট গাড়ি পরপর রাস্তা ফাঁকা থাকায় তাঁরা উল্টো দিক দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ে আচমকাই বোল্ডার বোঝাই একটি ডাম্পার আসছিল। প্রথম গাড়িটির সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার পরে ডাম্পারটি ডিভাইডারের উপর উঠে উল্টে যায়। কনেযাত্রীর পিছনে থাকা দুটি গাড়ির উপর গিয়ে পড়ে ডাম্পারটি। সেখানেই ডাম্পারের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনা আরও ১৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। প্রত্যেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে কুয়াশার জেরেই এই দুর্ঘটনা মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৪ শিশুও।
ঘটনার পরেই জোরকদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকটিকে তোলার চেষ্টা করা হয়। উদ্ধারে হাত লাগান পুলিশও। এলাকাবাসীদের দাবি, ট্রাকটির সামনে ছোট একটি লরি ছিল। ট্রাকটি লরিটিকে ওভারটেক করতে যাচ্ছিল। সেই সময়ে কনেযাত্রী বোঝাই গাড়িটি আচমকা সামনে চলে আসে। তারপরেই ঘটে দুর্ঘটনা। মৃতদের মধ্যে ৩টি শিশুও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার। আহতরা জলপাইগুড়ি ও ধূপগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনার জেরে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে রাত ২টোর পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ধূপগুড়ির দুর্ঘটনায় সাহায্যের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আড়াই লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা, অল্প আহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছেন তিনি
ধূপগুড়ির পথে দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।