নন্দীগ্রামের বয়ালের সাত নম্বর বুথে বহিরাগত উপস্থিতি নিয়ে মমতা যে অভিযোগ করেছিলেন, তা খারিজ করে দেওয়া হল। সঙ্গে কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হল, মমতার অভিযোগ ‘তথ্যগতভাবে ভুল’।
শনিবার মমতাকে পাঠানো চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, গত ১ এপ্রিল যখন বয়ালের সাত নম্বর বুথে গিয়েছিলেন, তখন দেশজুড়ে সম্প্রচার করা হয়েছিল। তিনি যে বুথের ভিতরে ছিলেন, তাও দেখা গিয়েছিল। সেই সময় কার্যত রাজ্য সরকারের আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছিলেন। পর্যবেক্ষক-সহ বিভিন্ন রিপোর্ট উল্লেখ করে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ‘সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এটা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, আপনার হাতে লেখা চিঠিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা তথ্যগতভাবে ভুল, কোনওরকম যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ নেই এবং যুক্তির অভাব আছে।’
গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন বয়ালের সাত নম্বর বুথে সকাল থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। তৃণমূলের এজেন্টকেও বসতে দেওয়া হয়নি দাবি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা সেখানে পৌঁছাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির তৈরি হয়। মমতা যখন বুথের ভিতরে ঢুকে যান, তখন বাইরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলা হয়। রীতিমতো সম্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হন তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে পুলিশ। নামানো হয় র্যাফ। কিছুক্ষণ পর পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষপর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা পর মমতাকে বুথ থেকে বের করা হয়। পরে কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন। কমিশনে চিঠিও লেখেন।
সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক যে নির্বাচনের সবথেকে বড় পক্ষ তথা ভোটারদের ভুলপথে চালিত করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টার সংবাদমাধ্যমের বয়ান তৈরি করা হয়েছে। বিশেষত খোদ মুখ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ তোলায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কমিশন।