Today Kolkata:- নিন্দা করে আফজলের ফাঁসি আটকান যায়নি, রাহুলেরও সদস্যপদ ফিরে পাওয়া যাবেনা। আফজল তেরা কাতিল জিন্দা হায় বলেও আফজলের ফাঁসি আটকান যায়নি, সুরাট আদালতের রায় সমালোচনা করে পাল্টানো যাবেনা উচ্চ আদালত ছাড়া। অতএব রাহুল আপনি আদালতে যান। আদালতকে সমালোচনা না করে আদালতে ভরসা রাখুন। তবে একটা কথা ঠিক যে, রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজের পর বিরোধীদের টনক নড়েছে। ভাষা সন্ত্রাস কখনও ভাল ফল দেয় না। রাফেল নিয়ে ‘চৌকিদার চোর’ খায়নি। নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।
মনে আছে বোফরস কামান নিয়ে ‘রাজীব গান্ধী চোর হায়’ বলে কমিউনিস্টরা সারা দেশে প্রচার করেছিল। অলিতে গলিতে রাজীব গান্ধী চোর হায় লিখে সিপিআই, সিপিএমের প্রচার মনে হচ্ছিল রাজীব গোহারা হেরে যাবেন। তারা বলেছিলেন, গান্ধী ৬০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন কামান সরবরাহকারী কোম্পানির থেকে।
সেই প্রচার রাজীব গান্ধীর ক্ষমতায় ফেরা আটকাতে পারেনি। যেমন তার পুত্র রাহুল গান্ধীর চৌকিদার চোর নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় টিকে থাকা আটকাতে পারেনি। তাহলে ‘সব চোরের নাম মোদি’ বলে কেন রাহুল ফাঁসলেন। ফাঁসলেন তাও আদালতে। কিন্ত সেই আদালতকে টার্গেট করে দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা যে বিচার বাবস্থা তার ওপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছেন রাহুল। এর ফল ভাল হবে না মন্দ হবে তা বলবে মে ২০২৪ এর ভোট। যদি রাহুলের দল জিততে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। মোদি ও তার দল বিজেপি চরম শিক্ষা পাবেন।
যদি উল্টোটা হয় তাহলে চৌকিদার চোরের মত এবারও জোর ধাক্কা খাবেন রাহুল যিনি বলছেন আমি সাভারকার নই, আমি রাহুল গান্ধী। কথাটার কোন মিল কেউ খু্জে পেলে বলবেন। আমি অন্তত পাই নি। আন্দামানে রাহুল কবে ইংরেজদের নৃশংস অত্যাচারের ‘সেল’ এ কাটালেন যেখানে বন্দীদের পেট ভরে খেতে দেওয়া হত না। প্রতিদিন চলত বেত্রাঘাত! ফলে তিনি কি করে সাভারকার হবেন। এভাবে ইতিহাসকে নিয়ে ভুলভাল কথা বলে তিনি নিজেকে আরও বেশী জাতীয়তাবাদী ভারতবাসীদের বিরূপভাজন হচ্ছেন। অবশ্যই তার সাংসদ সদস্যপদ যাওয়া নিয়ে আমিও খুশী নই।
কেননা কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সদস্যপদ চলে যাওয়া অথবা খারিজ করা তা যেভাবেই হোক সমর্থন করি না। কিন্ত কোন অপরাধ করলে আদালত বিচার করলে আমরা কি করতে পারি। ‘আফজল তোর কাতিল জিন্দা হায়’ বলেও তো আফজল গুরুর ফাঁসি আটকানো যায় নি। মধ্যরাতে আদালত বসিয়েও আটকানো যায় নি। মোদি ও আদালতের বিরুদ্ধে সব বিরোধীদল মিলে নিন্দা করেও রাহুলের সদস্যপদ ফিরে পাওয়া যাবে না। আবার কোন খারাপ মন্তব্য করার আগে উচ্চ আদালতে যান।