Today Kolkata:- নির্বাচনের মুখে হঠাৎ আশঙ্কার কালো মেঘ তৃণমূলে। এখানেও দলবদলু মুকুলকে নিয়ে গভীর সংশয়ে পড়েছে তৃণমূল। দল বদলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের মুখে মেঘালয়ের আকাশে হঠাৎ ভাসতে শুরু করেছে তাঁকে নিয়ে মহা জল্পনা। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, মুকুলকে দলে ফেরাতে তৎপর কংগ্রেস। শিলংজুড়ে চর্চা চলছে, নির্বাচনের পরে কংগ্রেসে ফিরতে পারেন মুকুল সাংমা। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। ভোটের পর তৃণমূল ছেড়ে আবার তাঁর ঘরওয়াপসি হতে পারে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল পড়বে বিপাকে। তবে সবটাই নির্ভর করছে ভোটের ফলের উপর।
এবার মেঘালয়ে এক অদ্ভুত সমীকরণে ভোট হচ্ছে। মেঘালয়ের ভোটের ফল কী হবে, কোনদিকে ঢলবে মেঘালয়ের মানুষ, তার উপর নির্বাচনোত্তর সমীকরণ নির্ভর করবে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলে ভাঙন লাগতে পারে বলে এখন থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও তৃণমূল মনে করছে, ভয় পেয়ে শাসক জোট এমন রটনা শুরু করেছে। ভোটের আগে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মন ভেঙে দেওয়ার খেলা চালাচ্ছে তারা। তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, কংগ্রেসও আসন্ন নির্বাচনে ফায়দা তুলতে এই ভাঙনের গুঞ্জন ছড়াতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেস সংঘবদ্ধ রয়েছে। তারা আত্মবিশ্বাসী এবার সরকার গড়ার ব্যাপারে।
মেঘালয়ে তারা সরকার গড়লে ১০০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে বলে জানিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিস্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। কংগ্রেস তাঁকে ঘরে ফেরাতে তৎপর হওয়ার গুঞ্জনে তৃণমূলের চাপ বাড়ছে ভোটের আগে। তিনি এবার তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন। দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও তিনি। ফলে তাঁকে ঘিরেই যাবতীয় আশা তৃণমূলের। এখন তিনি যদি ফের ‘ঘরওয়াপসি’ করেন, তবে বিপদে পড়বে তৃণমূল।
এর আগো গোয়া ও ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করেছে। গোয়ায় কংগ্রেস ভেঙে ইউনিট গড়ে নির্বাচনে লড়লেও নির্বাচনী ফলে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। ত্রিপুরাতেও তেমন আশা নেই। কারণ ত্রিপুরায় মাত্র ২৮ আসনে লড়ছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় ম্যাজিক ফিগার ৩১। বাকি থাকছে মেঘালয়।