বাদল অধিবেশবনের প্রথমদিনেই করোনা এবং ফোন ট্যাপিং সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন বিরোধী সাংসদরা। সেই সময়ই এদিন রাজ্যসভায় উত্থাপিত হয় নিশীথ প্রামাণিকের নাগরিকত্বের ইস্যুটি। বিরোধীরা অভিযোগ করে যে একজন বিদেশি দেশের সরকারের অংশ। তিনি ক্ষমতায় আছেন। যদিও এই বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকতে বারংবার অধ্যক্ষ নির্দেশ দিচ্ছিলেন। এরপরই বাধ্য হয়ে দিনে তৃতীয়বারের জন্যে রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।
নিশীথ প্রামাণিককে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করে বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং উত্তর পূর্ব ভারতের সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং কোচবিহারের সাংসদের নাগরিকত্ব খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ রিপুণ ভোরা। এ দিন সুখেন্দুশেখর রায় রাজ্যসভায় নিশীথ প্রামাণিককে বাংলাদেশি নাগরিক বলে অভিযোগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে হই হট্টগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়। সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক বলে শোনা যাচ্ছে।’ তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপি সাংসদরা। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানও সুখেন্দুশেখর রায়কে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখার অনুমতি দেননি। রাজ্যসভায় বিজেপি-র দলনেতা কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিশীথের নাগরিকত্ব নিয়ে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেন। অধিবেশনের কার্যবিবরণী থেকে তৃণমূল সাংসদের ওই বক্তব্য বাদ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। প্রবল হই হট্টগোলে এ দিনের মতো অধিবেশন মুলতবি করে দেন ডেপুটি চেয়ারম্যান।