More
    Homeজাতীয়নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, করোনা নিয়ে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী

    নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, করোনা নিয়ে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী

    করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্টের (New Variant of COVID-19) খোঁজ মিলতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে চিঠি পাঠিয়ে সমস্ত রাজ্যকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার জরুরি বৈঠকে বসছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের করোনা পরিস্থিতি (COVID Situation) ও টিকাকরণ (Vaccination) নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi), এমনটাই জানা গিয়েছে।

    বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৫২৯ (B.1.1.529) নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization)-র তরফে এই নতুন ভ্য়ারিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন (Omicron)। একইসঙ্গে এটিকে “উদ্বেগের কারণ” হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনের কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজন বা মিউটেশন হওয়ায়, এটি অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট হতে পারে এবং নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে সংক্রমণও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

    জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। একইসঙ্গে দেশে করোনা টিকাকরণের গতি কেমন, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানবেন। একইসঙ্গে নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।

     

    চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় বি.১.১৫২৯ বা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে। এরপরে তা হংকং, ইজরায়েল ও বেলজিয়ামেও করোনা আক্রান্তদের শরীরে পাওয়া যায়। নতুন ভ্যারিয়েন্টটির স্পাইক প্রোটিনে এতবার অভিযোজন হওয়ায়, তা বাকি ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় আরও সংক্রামক ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছেন গবেষকরা।

     

    গতকাল রাতেই কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে স্বাভাবিক হতে চলেছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। যেসমস্ত দেশগুলি “ঝুঁকিপূর্ণ” তালিকার অন্তর্ভূক্ত নয়, আপাতত সেই দেশগুলির মধ্যেই বিমান চলাচল করবে। এদিকে, গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে নতুন ভ্যারিয়েন্টকে “উদ্বেগের কারণ” হিসাবে চিহ্নিত করায়, হংকং, বেলজিয়াম, ইজরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বিমান চলাচলে প্রভাব পড়বে। আপাতত এই দেশগুলিতে নির্ধারিত উড়ানের ৭৫ শতাংশই চলাচল করতে পারবে।

     

    বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্যগুলিকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং ও বৎসনিয়া থেকে আগত যাত্রীদের কড়া নজরদারী ও পরীক্ষা করারত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হয়ে যাওয়ায় দেশেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

     

    গতকাল বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম পাওয়া করোনার ভ্য়ারিয়েন্টের বিষয়টি এখনও নতুন, এর বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানা নেই। আমরা সবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা ও বিবৃতি দেখলাম। সংক্রমণ প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তা এখনও জানা নেই। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও ভালভাবে বলতে পারবে। বিষয়টি এখনও প্রাথমিক স্তরেই রয়েছে।”

     

    অন্যদিকে, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর ও ইজরায়েল ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা, বৎসনিয়া ও আফ্রিকার আরও চারটি দেশের সঙ্গে উড়ান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। জার্মানি ও ইটালিও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত অধিকাংশ বিমানই বাতিল করে দিয়েছে। আমেরিকাও সাতটি দক্ষিণ আফ্রিকার দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments