More
    Homeখবরপঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

    পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

    পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূল নেতা দিনহাটা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। সোমবার দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের নাজিরহাট এলাকায় তৃণমূল নেতা তরণীকান্ত বর্মণের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরতের দাবিতে গ্রামবাসীদের বেশ কয়েকজন বিক্ষোভ দেখান। শাসকদলের নেতার বাড়িতে এদিন কেউ ঘরের জন্য টাকা দিয়েছিলেন। আবার কেউ কন্ট্রাক্টরি কাজের জন্য দিয়েছিলেন মোটা অংকের টাকা। কেউ বার্ধক্য ভাতার জন্য টাকা দিলেও তাদের অনেকেরই মেলেনি ঘর, বার্ধক্য ভাতা এমনকি কন্ট্রাক্টরি কাজ।

     

    গ্রাম পঞ্চায়েতের সময়সীমা শেষ হয়ে এলেও সেই টাকা না মেলায় দিনহাটা নাজিরহাটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালো একদল মানুষ। তরণী অবশ্য বলেন,”তৃণমূলকে কালিমা লিপ্ত করতে দলেরই অঞ্চল সভাপতি নিজেদের কিছু লোককে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করার চেষ্টা করছে।”তৃণমূলের নাজিরহাট দুই অঞ্চল সভাপতি মনভোলা রায় অবশ্য বলেন,”এর সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন কাজের জন্য টাকা দিয়েছিলেন। সেসব কাজ না হয় বাসিন্দারাই ওই বাড়িতে গিয়ে টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়।”

     

    এ দিন তরুণীকান্ত বর্মনের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকা দয়ানাথ সরকার জানান, ঘরের জন্য আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে তারপরে ঘর দেয় নি। অনেকদিন ধরে টাকা চেয়েও সেই টাকা মেলেন। বাধ্য হয়ে এ দিন বাড়িতে আসি।কাজিম উদ্দিন শেখ জানান, তরণীকান্ত যখন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন তখনই আমাকে কাজ দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা নেয়। তারপর কাজও দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়নি। অনেকবার টাকা চেয়েছি কিন্তু মেলেনি।আরেক বাসিন্দা মহিলা হানিফা বিবি জানান, ভাতার জন্য আমি এবং আমার স্বামী দুজনেই তরুণীকে টাকা দিয়েছি। আজও সেই টাকা ফেরত দেয়নি। কয়েকবার টাকা চেয়েছি। আজ না পরশু এভাবেই ঘুরিয়ে চলছে। বাধ্য হয়ে এ দিন আবারও এসেছি টাকার জন্য।

     

    তরণীকান্ত বলেন,” নাজিরহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। কাজ না করেই সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনভোলা রায়ের নেতৃত্বে নানাভাবে সরকারি টাকা লোপাট হয়েছে। সেটা নিয়ে আমি আদালতের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবো। সেটা জানতে পেরেই তৃণমূলের ওই নেতারা কিছু লোককে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে আমাকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অনুগামীদের একটি অংশ আমার বাড়িতে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে। ”

     

    তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক সহ সভাপতি আব্দুল সাত্তার জানান, তরণী কান্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। উনার স্ত্রী নাজিরহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তারা দায়িত্বে থাকাকালীন কি কারনে টাকা নিয়েছিলেন সেটা আমাদের জানা নেই। তবে এই ঘটনার সাথে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments