ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পূর্ব মেদিনীপুরে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কপ্টারে পৌঁছলেন সেখানে, ঘুরে দেখলেন উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো। ওই অঞ্চলগুলোয় ঘূর্ণিঝড় যশের ফলে কী ক্ষতি হয়েছে, তা ঘুরে দেখলেন তিনি। রাজ্যের মত্স্যমন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ককে সঙ্গে ঘুরে দেখেন তিনি। যশের রেসকিউ সেন্টারে স্থানীয় দুর্গতদের সঙ্গে কথাও বলেন। সেই সঙ্গে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি হলে অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারিও দেন অভিষেক।
বৃহস্পতিবার যশ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কপ্টারে রামনগর পৌঁছন তৃণমূলের যুব সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তাজপুর হয়ে কাঁথিতে যাবার কথা রয়েছে তাঁর। ঘুরে দেখবেন কাঁথির ২ নম্বর সমুদ্র উপকূলের এলাকাটি। ঘূর্ণিঝড় যশের পরে এই এলাকার কি কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে খোঁজ নেবেন তিনি। যাত্রাপথে তার সঙ্গে থাকছেন রাজ্যের মত্স্যজীবী ও পূর্ব মেদিনীপুরে স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি। স্থানীয় দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি করলে এবং তা ধরা পরলে তাদের কঠিন শাস্তির কথা জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন সাতেক আগে হওয়া ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবের ক্ষত ছড়িয়ে রয়েছে তাজপুর জুড়ে, সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জলধা গ্রাম। যশ ও ভরা কোটাল এর জেরে সমুদ্রের জলোচ্ছাসের ৪ মাস আগে তৈরি হওয়া বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। জলে ভেসে যাওয়া গ্রাম আপাতত সরকারি ত্রাণের ভরসাতেই বেঁচে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের বাসিন্দারা নতুন কংক্রিটের বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ভেঙে যায় বাঁধ যার ফলে সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসীরা। আগামী বুধবার ফের অমাবস্যার কোটাল রয়েছে ফলে নতুন করে জলোচ্ছ্বাসের জেরে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।