পেগাসাস নিয়ে কোনও তথ্য থাকলে তা তদন্ত কমিশনকে জানানোর নোটিশ দেওয়া হল। বিভিন্ন প্রথমসারির সংবাদপত্রে সেই নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে। ওই নোটিশে জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তি, সংস্থার কাছে পেগাসাস ‘হ্যাক’ নিয়ে কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ তথ্য থাকলে তা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) এমবি লকুর এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিশনকে জানানো যেতে পারে। সেই নোটিশ প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সেই তথ্য জানাতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া ৩০ দিনের পর কোনও তথ্য নেওয়া হবে না। সেজন্য একটি ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে – New Town Kolkata Development Authority, Major Arterial Road Kolkata – 700156। সেইসঙ্গে [email protected]তে ইমেল করেও তথ্য জানানো যাবে।
স্পাইওয়ার পেগাসাস নিয়ে বিতর্কের মধ্যে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুরো বিষয়টির তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আড়ি পাতার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্যি হয়ে থাকলে কীভাবে ম্যালওয়ার কাজ করেছে, তা তদন্ত করে দেখবে কমিশন। ‘নজরদারির’ জন্য ইজরায়েলের এনওসও গ্রুপের পেগাসাস বা অন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে, কোন কারণে ‘আড়ি’ পাতা হয়েছিল, ‘আড়ি’ পাতার ফলে প্রাপ্ত তথ্য কোথায় গিয়েছে, কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাও তদন্ত করা হবে। সেইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা কোনও গোষ্ঠীর প্ররোচনা বা উস্কানির মতো বিষয়-সহ কোন পরিস্থিতিতে ‘আড়ি’ পাতা হয়েছিল, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভূমিকা কী, ‘আড়ি’ পাতা হয়ে থাকলে আইনি দিকও বিবেচনা করে দেখবে কমিশন।
পেগাসাস নিয়ে কোনও তথ্য থাকলে তা জানানোর জন্য ঠিকানা দিল রাজ্যের গঠিত তদন্ত কমিশন
Read More – করোনার তৃতীয় ঢেউ যে কোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে, রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ মমতার
যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবির স্বপক্ষে কোনও মজবুত ভিত্তি বা সত্যতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’ পরে পেগাসাস ‘হ্যাক’-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈষ্ণ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট-সহ অতীতে এই ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে সবপক্ষ। এই অভিযোগের কোনও তথ্যগত ভিত্তি নেই।’ পুরো বিতর্কের সঙ্গে কেন্দ্র বা বিজেপির নাম জড়ানোর জন্য ছিঁটেফোটা প্রমাণও নেই বলে দাবি করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।