ফাঁপড়ে পড়েছেন আমেদাবাদের ছোট ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, এবার থেকে আমিষ খাবার রেখেঢেকে বিক্রি করতে হবে। যার ফলে শহরের পথেঘাটে আমিষ বিক্রি করতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে বিক্রেতাদের। স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় স্থানের মতো জনবহুল স্থানগুলিতে আর পশরা সাজিয়ে বসতে পারছেন না তাঁরা।
প্রকাশ্যে আমিষ বিক্রি বন্ধ, রুটিরুজি হারিয়ে বিপন্ন আহমেদাবাদের ব্যবসায়ীরা
Read More-তিন দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা, বৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে
অস্তিত্বের সংকটে ভুগতে শুরু করেছেন তাঁরা। বিক্রেতাদের মতে, ‘হোটেলগুলিকে অনুমতি দিয়ে আমাদের নিষিদ্ধ করার কী অর্থ? সেখান থেকে কি আমিষের গন্ধ বেরোবে না?’ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল যেমন বলে দিয়েছেন, ‘এটা আমিষ-নিরামিষের ব্যাপারই নয়। মানুষ যা চায় খেতে পারে। কিন্তু খাবারের স্টলে যেন রাস্তায় ট্র্যাফিকের কোনও সমস্যা না হয়।’ পাশাপাশি বিক্রীত খাদ্য যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি করা হয়, সেদিকেও জোর দিয়েছেন তিনি। পুরো সিদ্ধান্তটাই স্থানীয় প্রশাসনের বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। গুজরাটের অন্যান্য শহরেও এই নিয়ম চালু হয়েছে। আমেদাবাদ পুরসভার নির্দেশ, স্কুল-কলেজ ও ধর্মীয় স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে এই ধরনের স্টল করা যাবে না। বরোদা ও রাজকোটের মতো শহরেও এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। বরোদার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজ্যের বিজেপি নেতা হিতেন্দ্র প্যাটেল স্পষ্ট বলেছেন, ‘সমস্ত আমিষ পদই এমন ভাবে ঢেকে রাখতে হবে যেন পথচলতি কোনও মানুষের চোখে তা না পড়ে। এতে তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। এটা ঠিকই, এতকাল আমিষ পদ খুল্লমখুল্লা বিক্রি হয়ে এসেছে। কিন্তু এবার পরিবর্তনের সময় এসেছে। আমিষ খাবার যেন দেখা না যায়।’