More
    Homeকলকাতাপ্রথম কলকাতার পথে নামল পরিবেশবান্ধব সিএনজি বাস, চালকের আসনে ফিরহাদ হাকিম

    প্রথম কলকাতার পথে নামল পরিবেশবান্ধব সিএনজি বাস, চালকের আসনে ফিরহাদ হাকিম

    প্রথম কলকাতার পথে নামল পরিবেশবান্ধব সিএনজি বাস। মাস দুয়েক গবেষণার পরে সোমবার কসবার পরিবহণ ভবনের সামনে প্রথম ট্রায়াল রান হল। বাসের উদ্বোধন করতে গিয়ে চালকের আসনে বসে পড়লে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিছুক্ষণ বাস চালাতে দেখাও যায় তাঁকে। পরিবহনমন্ত্রী বললেন, পরীক্ষামূলকভাবেই সিএনজি বাস নামানে হয়েছে। আপাতত দুটি বাসকে পরিবর্তিত করা হয়েছে। আগামী ছ’মাস বাসটি চালানো হবে। যাত্রী পরিবহন ও জ্বালানি খরচ সাশ্রয়ে সাফল্য এলে, আরও বেশি এমন পরিবেশবান্ধব বাস নামবে শহরের পথে।

    প্রথম কলকাতার পথে নামল পরিবেশবান্ধব সিএনজি বাস, চালকের আসনে ফিরহাদ হাকিম

    Read More- শোকের ছায়া বলিউডে, প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম শ্যাম

    ফিরহাদ বলেছেন, একদিকে পরিবেশ দূষণ কমানো, অন্যদিকে জ্বালানির খরচে সাশ্রয়, এই দুটি বিষয় মাথায় রেখেই সিএনজি বাস চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জ্বালানির খরচ যেভাবে বাড়ছে তাতে বাসের ভাড়াও ঊর্ধ্বমুখী। সিএনজি বাসে জ্বালানির খরচ প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে। ফলে বাস ভাড়া কমানোও সম্ভব হবে। দু’মাস আগে সিএনজি কিট নিয়ে গবেষণা শুরু হয়, বললেন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই প্রথমবার বাসের ট্রায়াল রান করা হয়েছে। ফিরহাদ জানান, একটি বাসকে সিএনজি-তে পরিবর্তিত করতে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হবে। বেসরকারি বাসমালিকরাও এগিয়ে এলে আরও বেশি সংখ্যক সিএনজি বাস শহরের পথে নামানো যাবে। ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। জ্বালানি খরচ মিটিয়ে বাস পরিষেবা সচল রাখা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকারও। এই সমস্যা মেটানোর জন্য সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) বাসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

    কসবায় পরিবহণ ভবনে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তিও করেছে রাজ্য পরিবহণ নিগম। এই চুক্তি মাফিক কসবা ছাড়াও সল্টলেক, হাওড়া, ঠাকুরপুকুর, সাঁতরাগাছি সহ কয়েকটি রুটে প্রাথমিকভাবে সিএনজি পরিষেবা চালু হবে। কলকাতার বহু বাস রুটে সিএনজি পাম্প তৈরি হবে বলেও জানা যাচ্ছে। যাতায়াতের পথে এই পাম্পগুলি থেকেই গাড়িতে গ্যাস ভরতে পারবেন বাসচালকরা। ফিরহাদ বলেছেন, আগামী ছ’মাসের মধ্যে প্রথম সিএনজি স্টেশনটি তৈরি হয়ে যাবে। এর ফলে বাসের জ্বালানি খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণও কমবে। শহরকে আরও বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments