মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দৌলতে ফের সেরার মুকুট পড়ল বাংলা। বাংলার শিক্ষা দফতর এবার স্কচ গোল্ডেন পুরস্কার বিজয়ী হল। করোনার বিশ্ব মহামারীর সময়ও পড়ুয়াদের জন্য ভালো কাজ করা ও শিক্ষা বিস্তারের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজ্যের শিক্ষা দফতর পেল আন্তর্জাতিক পুরস্কার। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দুটি বিভাগই এবার সেরার তকমা পেল।
২০২০-র মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে এ রাজ্যেও। প্রায় দু-বছর হতে চলল রাজ্যের স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। রাজ্যের পড়াশোনার মান বজায় রাখতে এই করোনাকালেও শিক্ষা দফতর কাজ করে চলেছে নিরন্তর। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে শিক্ষা বিস্তারের কাজ জারি রয়েছে বাংলায়।
ভালোভাবেই শিক্ষার পরিস্থিতি সামলেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। স্কচ পুরস্কার প্রাপ্তি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার ভালো কাজের স্বীকৃতি। স্কচ পুরস্কার প্রাপ্তিতে অত্যন্ত খুশি রাজ্যের শিক্ষা দফতর। খুশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। ধন্যবাদ দিয়েছেন বাংলার শিক্ষক সমাজ ও বাংলার মানুষকে।
কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ হলেও মিড ডে মিল চালু ছিল। অভিভাবকদের মাধ্যমে তা বণ্টন করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কোনও প্রকল্পই বন্ধ হয়নি। তার উপর উচ্চশিক্ষাতেও দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টেক্কা দিয়েছে বাংলা। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে বিকল্প পথে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে গিয়েছে বাংলার শিক্ষা দফতর। তারই স্বীকৃতি এই আন্তর্জাতিক স্কচ পুরস্কার।
শুধু রাজ্যের শিক্ষা দফতরই নয়, স্কচ গোল্ডেন পুরস্কার পেয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতরও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যো্কপাধ্যায় নিজে এই সুখবর দিয়েছেন টুইট করে। এবারই প্রথম নয়। এর আগে রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর ও একাধিক প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্বীকতি পেয়েছে। জাতীয় স্তরেও সেরার পুরস্কার পেয়েছে বাংলা।
এর আগে রাজ্য সরকার এক বছরে চারটি স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। তার মধ্যে একটি প্ল্যাটিনাম, একটি গোল্ড এবং দুটি সিলভার অ্যাওয়ার্ড ছিল। এবার মিলল দুটি স্কচ অ্যাওয়ার্ড। দুটিই স্কচ গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড মিলেছে এবার। এর আগে স্কচ প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড মিলেছেন ইজ অফ ডুয়িংম বিজনেস বা শিল্পসাথী প্রকল্পের জন্য। রবিবার পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে স্কচ কর্তৃপক্ষ। তারপরই জানা যায় বাংলার তৃণমূল সরকারের দুটি দফতর স্কচ গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এর ফলে বাংলার মুকুটে যুক্ত হল আরও দুটি পালক।