বিশ্বভারতীর শতবর্ষে টুইটারে শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । এ বছর রবীন্দ্রনাথের এই ‘আশ্রম’ শতবর্ষ ছুঁল। ৮ পৌষ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবস। কবিগুরুর ভাষাতেই ঐতিহ্যের এই মূর্ত স্মারককে সম্মান জানালেন মমতা। লিখলেন, ‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও।… বিশ্বভারতী শতবর্ষে পড়ল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি ও মানবতার মন্দির এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের উচিত্ এই মহান জীবন দর্শনকে সংরক্ষিত রাখা।’
সকালেই বিশ্বভারতীতে এসে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উপস্থিত হয়েছেন অন্যান্য বিশিষ্টরা। এদিন থেকে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন শুরু হবে। বছরভর চলবে নানা অনুষ্ঠান। সকাল প্রায় পৌঁনে ১২টা অবধি চলবে বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান। এরপর রতনপল্লিতে ভারত তীর্থ নামে একটি নতুন মার্কেটের উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল।
দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। ১৯২১ সালে বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনে প্রকৃতির মাঝে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কবি চেয়েছিলেন, পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যেন উদারতা তৈরি হয়। যে উদারতা রক্ত মাংসের একজন মানুষকে মানবতার মন্ত্রে দীক্ষিত করতে পারে।
দেশের বাকি পাঁচটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এখানেই বিশ্বভারতীর অনন্যতা, স্বকীয়তা। রবিঠাকুরের এই সৃষ্টিকে ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়।