Today Kolkata:- সাম্প্রতিককালে বঙ্গ রাজনীতির বিরলতম দৃশ্য। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী! শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পেয়ে তাঁর ঘরে যান শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়ি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সামান্য আলোচনার পরই বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
সাক্ষাতের পর মমতা বলেন, ‘‘শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম।’’ সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, এটা ছিল ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’। শুক্রবার ‘সংবিধান দিবস’ পালিত হচ্ছে বিধানসভা। পাশাপাশি নতুন ভবনের উদ্বোধনও। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই বিরোধী দলনেতার, এই অভিযোগ তুলে তিনি অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান।
২০২১ সালে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের পর এই প্রথম রাজ্যের আইনসভার অন্দরে মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। যা সাম্প্রতিক কালে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার অনেক আগে থেকেই দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ওঁরা। জেতেন শুভেন্দু। পরে মমতা উপনির্বাচনে জিতে আসেন ভবানীপুর থেকে।
এরপর মমতাকে ‘কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করতে থাকেন শুভেন্দু। ‘পিসি-ভাইপো লিমিটেড কোম্পানি’ বলে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে থাকেন। পাল্টা মমতাও নানা কথা বলেন। কিন্তু কখনও শুভেন্দুর নাম সে ভাবে বলেননি। তবে লড়াই চলছিলই। তারই মধ্যে আজ সত্যিই অবাক হয়ে গেল বিধানসভা।
ভাই বলে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী , বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে শুভেন্দু অধিকারী , বঙ্গ রাজনীতির বিরলতম দৃশ্য।
MORE NEWS – “তৃণমূলের লোগো প্রত্যাহার করতে বললে রসগোল্লা খাওয়াব না” – নাম না করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি কুণালের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তোলপাড় বাংলা। শুক্রবার সকালে কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভার দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী আর লোকসভার দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূলের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য।” দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মান্যতা প্রত্যাহার করার হুঁশিয়ারিও দেন। CONTINUE READING