ভোট-পরবর্তী হিংসায় তপ্ত বাংলা। একাধিক প্রাণহানির সাক্ষীও থাকতে হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘আইন-শৃঙ্খলা’ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনটা নিজেই জানিয়েছেন ধনখড়।মঙ্গলবার টুইটারে ধনখড় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন এবং অত্যন্ত উদ্বেগজনক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিনা বাধায় হিংসা, ভাঙচুর, লুঠ এবং হত্যার ঘটনা চলতে থাকায় আমি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। (সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খল) পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বাড়তি কাজ করতে হবে।’
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক হিংসার খবর মিলছে। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি বজায়ের আর্জি জানালেও পরিস্থিতির উন্নতির হয়নি। উলটে ক্রমশ ‘লাগামছাড়া’ হচ্ছে ভোট-পরবর্তী হিংসা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগের নিশানায় তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক বাম ও বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা থেকেই হিংসার খবর আসছে। ছ’জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন দিলীপ। সেইসঙ্গে আগামিকাল (বুধবার) তৃতীয় দফায় মমতার শপথের দিন রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। রাজ্যের পরিস্থিতির পর্যালোচনার পাশাপাশি হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত কর্মীদের দেখা করবেন তিনি।
একইসঙ্গে বাংলার হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে সিপিআইএম। সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘এই ধরনের ভয়ানক হিংসা কি তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় উৎসব? নিন্দনীয়। প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এবং প্রত্যাখান করা হবে। (করোনাভাইরাস) মহামারীর মোকাবিলার পরিবর্তে এরকম হাঙ্গামা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বরাবরের মতো সিপিআইএম মানুষকে রক্ষা করবে, সাহায্য করবে, ত্রাণ প্রদান করবে।’