ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে সাম্প্রতিক রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তাতে নাকি বলা হয়েছে ভোট পরবর্তী সময়ে খুন ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে কেষ্টগড়ে, মানে বীরভূমে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল থুড়ি ‘কেষ্ট’র জেলাতেই নাকি একুশের নির্বাচন পরবর্তীকালে খুন, জখম, ধর্ষণ-সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, মিলিয়ে অন্তত ৭১টি ঘটনার নাকি অভিযোগ এসেছে সিবিআইয়ের কাছে। এর মধ্যে ৪৩টি মামলা খুনের ও ২৮টি মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা।
ভোট পরবর্তী হিংসা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বীরভূমে, বিস্ফোরক রিপোর্ট সিবিআইয়ের
Read More-প্রবল বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় জল জমে বিপর্যস্ত দিল্লি, জারি কমলা সতর্কতা
যদিও জেলা পুলিশের হিসাব বলছে সংখ্যাটা মাত্র ৪১। তাঁদের দাবি, হয় সিবিআই বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে মিথ্যা কথা বলছে, নতুবা তাঁদের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সব থেকে বড় কথা কলকাতা হাইকোর্টের রায় সামনে আসা ও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৬জন করে সদস্যকে নিয়ে ৪টি টিম গঠন করে তড়িঘড়ি করে তদন্তের কাজে নেমে পড়ার মধ্যে এটা খুব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, সিবিআই একটি বৃহত্ ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসাবেই কাজ করে চলেছে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে।
Read More-তৃতীয় দফায় কাবুল থেকে আরও ৮৫ জন ভারতীয়কে দেশে ফেরাচ্ছে বায়ুসেনার সি-১৩০
তবে এটাও জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের কাছে শুধু বীরভূমই নয়, বাংলার আরও ৪টি জেলা থেকে ভুরি ভুরি অভিযোগ এসেছে। পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনা, এই চার জেলা থেকে নাকি সিবিআইয়ের কাছে সবচেয়ে বেশি ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনা ঘটার অভিযোগ এসেছে। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের এটাও দাবি যে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তির যে মামলাগুলো দায়ের হয়েছে, তার ৫০ শতাংশই ঘটেছে এই পাঁচ জেলায়। মজার কথা এই ৫টি জেলায় কার্যত তৃণমূলের গড়। এমনকি অধিকারীদের তৃণমূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও পূর্ব মেদিনীপুরে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে মাত্র ৭টি আসন পেয়েছে তাঁরা। এর পাশাপাশি এটাও জানা গিয়েছে যে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনাগুলির তদন্তের জন্য শুক্রবারই খুন ও ধর্ষণের যাবতীয় মামলার কেস ডায়েরি রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। ইমেল করে রাজ্য পুলিসের ডিজি’র কাছ থেকে সেই কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।