ভোট প্রচারের সময় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের! ফলে কলকাতা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন মিঠুন চক্রবর্তী। আজ মিঠুনকে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করে মানিকতলা থানার পুলিশ। সকাল ১০ টার পর শুরু হয় সেই জিজ্ঞাসাবাদ। পুণে থেকে ভার্চুয়ালি পুলিশের সব প্রশ্নের উত্তর দেন মিঠুন।
এবারের ভোটের সময় প্রচারে গিয়ে ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘এক ছোবলেই ছবি’ বা ‘জাত গোখরো’-র মতো নানা মন্তব্য করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর সেখানেই বিপত্তি! তাঁর বিরূদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ভোটের সময় বিভিন্ন জনসভায় ওই সংলাপগুলি বলে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মিঠুন। সেই কারণে মানিকতলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩A, ৫০৪, ৫০৬ এবং ৩৪ আইপিসিতে মামলা করে মানিকতলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এরপর বিজেপির হয়ে ভোটের প্রচারে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিভিন্ন রোড শো ও সভা-সমাবেশেই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল নিজের ছবির ওই সংলাপগুলি। তার জেরেই এবার অভিযোগ দায়ের হল অভিনেতার বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, মামলার FIR খারিজের দাবীতে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আবেদনে মিঠুন জানান, ভোট প্রচারের সময় তিনি যে সংলাপগুলি বলেছিলেন, সেগুলি তাঁর নিজের সিনেমার সংলাপ। কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য তিনি করেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনও ভাবেই সম্পর্কিত নন তিনি। কিন্তু অভিনেতার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। বরং তাঁকে পুলিশি তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়ে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপরই বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দেন মিঠুন।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুনের বিরূদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য, ষড়যন্ত্রে মদত দেওয়া ইত্যাদি নানা অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫টি প্রশ্নের প্রশ্নমালাও তৈরি করা হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই জিজ্ঞাসাবাদ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিঠুন কিছু জানিয়েছেন কিনা বা সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।