মগরাহাট বিষমদ কাণ্ডে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মগরাহাটে বিষমদ খেয়ে ১৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় শনিবার নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আজ সেই সাজা ঘোষণা করে আলিপুর আদালত।
খোঁড়া বাদশাকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছে আদালত। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবার মহকুমার উস্তি-সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষমদ খেয়ে অন্তত ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একটি মগরাহাট ও অন্যটি উস্তি থানায়। পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিষমদ কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। তদন্তে উঠে আসে নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশার নাম। জানা যায়, যে চোলাই মদ খেয়ে এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল তা বানাত এই খোঁড়া বাদশা। তার স্ত্রী শাকিলা বিবিও এই কাণ্ডে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় ও পশ্চিমবঙ্গ আবগারি আইনে দু’মাসের মধ্যে চার্জশিট জমা করেছিল সিআইডি।