মর্মান্তিক ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। বোলতার কামড়ে মৃত্যু হল তিন বছরের শিশুকন্যার। গুরুতর অসুস্থ হয়ে আরও একটি শিশু ভর্তি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শিশুর পরিবারের আরও তিনজন বোলতার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোলতার উত্পাতে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের রামশিমুল গ্রামের বাসিন্দারা।
হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদাবাদ পঞ্চায়েতের রামশিমুল গ্রাম। রবিবার সন্ধেয় এই গ্রামেই বাড়ির পিছনে খেলছিল তিন বছরের ওই শিশুকন্যা। তার সঙ্গেই খেলছিল বাড়ির আরও একটি শিশু। ওই বাড়িরই ছাদে বাসা বেধেছিল বোলতা। সন্ধেয় হঠাত্ এক-ঝাঁক বোলতা নেমে আসে নীচে। আচমকা শিশু দুটির সামনে এসে তাদের কামড়াতে শুরু করে বোলতার পাল। দুটি শিশুকেই পরপর বেশ কয়েকটি বোলতা কামড়ে দেয়। বোলতার কামড়ের পরেই প্রচণ্ড যন্ত্রণায় শিশু দুটি প্রবল চিত্কার জুড়ে দেয়। বাড়ির বাচ্চাদের চিত্কার শুনে দৌড়ে আসেন পরিবারের বাকিরা। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে কামড়ে দেয় বোলতার দল।
এদিকে, বোলতার কামড়ে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু দুটি। অসুস্থ বোধ করতে থাকেন বাড়ির অপর তিন সদস্যও। তড়িঘড়ি দুটি শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তবে দুটি শিশুর শারীরিক পরিস্থিতি সংকটজনক হওয়ায় তাদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিত্সকরা। রবিবার রাতেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ দুই শিশুকে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিন বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, বোলতার কামড়ে অসুস্থ আরও তিনজনের চিকিত্সা চলছে চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বোলতার কামড়ে শিশু-মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। শোকে ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। শিশুটির বাড়িতে নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীদের উপচে পড়া ভিড়। শোকে বিহ্বল গোটা গ্রাম। একরত্তি শিশুর এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে বাকরুদ্ধ তার বাবা-মা ও অন্য আত্মীয়রা।