মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ১,০০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য আয়কর দফতরের তরফে সরকারিভাবে এখনও মুখ খোলা হয়নি।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ১,০০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর
Read More-উপনির্বাচনে ৪-০ ব্যবধানে ‘জয়’, চার জয়ী প্রার্থীকে টুইট করে শুভেচ্ছা মমতার
সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং গোয়ায় পাওয়ারের যোগ থাকা একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। সবমিলিয়ে মোট পাঁচটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই তালিকায় আছে মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টের নির্মল টাওয়ার। পাশাপাশি একটি সমবায় চিনি কারখানাও বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত মাসে অভিযানের সময় যে ১৮৪ কোটি টাকার মতো হিসাব-বহির্ভূত আয়ের হদিশ মিলেছিল, তার জেরেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
Read More-আগামী ১৬ নভেম্বর রাজ্যে পুরোপুরি চালু হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প, রইল বিস্তারিত…
গত মাসে পাওয়ারের বোনেদের বাড়ি এবং সংস্থায় অভিযান চালিয়েছিল আয়কর দফতর। সেই সময় ৬২ বছরের এনসিপি নেতা বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতি বছর কর দিই। যেহেতু আমি নিজেই অর্থমন্ত্রী, তাই আমি আর্থিক নিয়মের বিষয়ে জানি। আমার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত সংস্থার কর দেওয়া হয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি হতাশ, কারণ আমার বোনেদের (জায়গায়) তল্লাশি চলেছে। যাঁরা ৩৫-৪০ বছর আগে বিয়ে করেছেন। যদি পাওয়ারের আত্মীয় হওয়ার জন্য তাঁদের (জায়গায়) বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়, তাহলে মানুষের অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। যেভাবে এজেন্সিগুলিকে (অপ)ব্যবহার করা হচ্ছে…।’
তারইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার মুম্বই এবং পুণেতে পাওয়ার খুড়তুতো ভাই জগদীশ কদমের বাসভবনে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যিনি একটি চিনি কারখানার অধিকর্তাও। যেখানে আগেই অভিযান চালিয়েছিল ইডি। এএনআই জানায়, মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্কের সম্পর্কিত বিষয়ে অভিযান চালানো হয়েছে।