Today Kolkata :- রেলশহর খড়্গপুরের ৩৫-টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০-টি আসনেই জয়ী তৃণমূল। যার মধ্যে বিজেপি পেলো ৬। খড়্গপুর শহরের সবচেয়ে চর্চিত ও গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড ছিল ৩৩ নং ওয়ার্ড। এখানে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিল বিজেপি প্রার্থী তথা বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে নেতৃত্বে ছিল তৃণমূলের প্রবীণ নেতা জহর পাল। শেষ পর্যন্ত গনতন্ত্রের যুদ্ধে জয় হলো হিরণ এর। প্রায় দেড় শতাধিকের বেশি ভোটে পরাজিত হলেন তৃণমূলের এই প্রবীণতম নেতা। বৌমা সহ পরাজয় জহর পালের। অপরদিকে, খড়্গপুরের ৬ নং ওয়ার্ড জিতিয়ে মুখরক্ষা করলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা প্রদীপ সরকার। অন্যদিকে, কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ৬ টি ওয়ার্ড সেগুলি হল যথাক্রমে- ১১, ১৪, ১৫, ২২, ২৩, ২৪ নং ওয়ার্ড। বামেরা পেলো ২ টি এবং নির্দলের ঝুলিতে গেলো একটি আসন।শেষ পর্যন্ত খড়্গপুরের ২০টি আসনে জিতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর পৌরসভার ২৫-টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০-টি ওয়ার্ডেই জয়ী হল তৃণমূল। সি পি আই এম পেলো মোট ৩ টি আসন। অন্যদিকে, ২১ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী মহ: সাইফুল। এবং মেদিনীপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী অর্পিতা রায় নায়েক। অপরদিকে ঘাটাল মহকুমার ফলাফল রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ এবং বেশ ঈর্ষণীয়ও বটে! ঘাটাল (১৭-০), চন্দ্রকোনা (১২-০) ও রামজীবনপুর (১১-০) পৌরসভা বিরোধী শূন্য হয়েছে। খড়ার (১০-২)।এই পৌরসভায় ২ টি আসন পেয়েছে বিজেপি।
মেদিনীপুর, খড়্গপুর ঘাটাল পৌরসভায় সবুজের ঝড়! জনতার রায়ে খড়্গপুরে হিরণই ভরসা, কিছু আসন পেলো নির্দল।
আধার কার্ড করতে ১৭ টি কুপন দেওয়া হবে, সেই কুপন নিতে ৪ দিন আগে থেকে লাইন ভাঙ্গড় পোস্ট অফিসে।
অন্যদিকে,চন্দ্রকোনা, রামজীবনপুর, খড়ার, ক্ষীরপাই পৌরসভার দখল নিল তৃণমূল।খড়ারে ২ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ক্ষীরপাই পৌরসভার ১০-টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯ টি তৃণমূল দখল করলেও ৪ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা মনোজ হালদারের মা সুনীতি হালদার। প্রসঙ্গত, এই ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন মনোজ হালদার। তাঁর মা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল মনোজকে। শেষ পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ের হাসি হাসলেন নির্দল প্রার্থী সুনীতি দেবী! সার্বিক ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফলে সবুজ ঝড় অব্যাহত থাকলো।