শুক্রবার কেন্দ্র সরকার একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। যার নাম ‘মেরা রেশন’ অ্যাপ। এই রেশন কার্ড প্রাপকরা, বিশেষত পরিযায়ী শ্রমিকরা এই কার্ড পাবেন, যেখানে রেশন দোকান গুলিতে গিয়ে নিজেদের প্রাপ্য রেশন সম্পর্কে লেনদেনের তথ্য পান তারা।
এটি একটি অ্যান্ড্রয়েড বেসড মোবাইল অ্যাপ। ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার এই অ্যাপ বানিয়েছে। বর্তমানে দুটি ভাষায় এটি পাওয়া যাবে, হিন্দি ও ইংরাজিতে। পরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এটি লঞ্চ করা হবে। কেন্দ্র সরকারের পরিকল্পনা মোট ১৪টি ভাষাতে এটি বানানো হবে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক দেশ এক রেশন কার্ড বিশেষ সুবিধা দেবে গ্রাহকদের। ন্যাশনাল ফুড সিকিওরিটি অ্যাক্টের সুবিধাভোগীরা (National Food Security Act) সারা দেশে যে কোনও এলাকার রেশনের দোকান থেকে রেশন পেতে পারবেন। ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রয়োগ করতে চাইছে কেন্দ্র। খাদ্য সরবরাহ দফতরের সচিব শুধাংশু পাণ্ডে জানান, ২০১৯ সালের অগাষ্ট মাসে প্রাথমিকভাবে ৪টি রাজ্যে এটি চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে খুব কম সময়ের মধ্যে ৩২টি রাজ্যে এই নিয়ম চালু করা হয়।
বাকি থাকা চারটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অর্থাত্ অসম, ছত্তিশগড়, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। এতে প্রতি মাসে দেড় থেকে ১.৬ কোটি পরিবার উপকৃত হবেন।
এদিকে, ২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল যেহেতু রেশন কার্ড রাজ্য সরকার ইস্যু করে থাকে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যশস্যের মাধ্যমে যাঁরা উপকৃত হবেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রেশন দোকান থেকেই রেশন সংগ্রহ করতে হবে। কেন্দ্র আরও জানায় তারা তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র্প্রদেশের মধ্যে এবং মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মধ্যে আন্তঃরাজ্য বহনক্ষম রেশন কার্ডের পাইলট প্রকল্প চালু করবে- যা এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
কেন্দ্র সরকারের দাবি ছিল এই প্রকল্প দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। কারণ কাজের সন্ধানে তাঁদের বিভিন্ন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে থাকতে হয়। এতে তারা সেইসব রাজ্য থেকেও রেশন সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি কেউ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান, সেক্ষেত্রে তাঁকে দ্বিতীয় রাজ্যে গিয়ে ফের রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে না।