রসিকপুরে বোমা ফেটে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের ভর্ত্সনার মুখে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার। বিধানসভা ভোটের ঠিক মুখে বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘিরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বড়সড় প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। ভোটের আবহে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনও আপোসের রাস্তায় হাঁটতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে পদ থেকে সরানোর ভাবনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সদস্যরা। একাধিক জেলার প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে কমিশনের। নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
রাজ্যের স্পর্শকাতর বুথগুলির ৫০ শতাংশ বুথেই ওয়েব কাস্টিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার ফুটেজ না এলে সম্পূর্ণ দায় বর্তাবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের উপর। মঙ্গলবারের বৈঠকে একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সদস্যরা। নির্বাচন চলাকালীন প্রতিটি বুথে যাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয় সেব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবারের বৈঠকে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে রসিকপুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে তীব্র ভর্ত্সনা করেছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, গত সোমবার বর্ধমান শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম জনবহুল রসিকপুরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বোমা ফেটে এক শিশু-সহ ২ জন জখম হয়েছে। এক শিশুর মৃত্যুও হয়েছে। মৃত শিশুর নাম শেখ আফরোজ। তার বয়স সাত বছর। জানা গিয়েছে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এলাকাবাসী জানিয়েছে, আফরোজের সঙ্গে খেলছিল তার ভাই শেখ ইব্রাহিম। সেও গুরুতর জখম হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের সদর শহর বর্ধমানের রসিকপুর সুভাষপল্লী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে জখম অপর শিশু ইব্রাহিমের অবস্থা সংকটজনক। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে তার। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোনও সংযোগ আছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনা নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।