রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তের লক্ষ্যে চারটি বিশেষ দল গঠন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে প্রতিটি তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকছেন একজন করে জয়েন্ট ডিরেক্টর পদ মর্যাদার আধিকারিক। এই দলগুলির উপর তত্ত্বাবধান চালাবেন একজন অতিরিক্ত ডিরেক্টর পদ মর্যাদার আধিকারিক। চার দলে মোট ২৪ জন আধিকারিক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় রায় দেয় হাই কোর্ট। সেখানেই ধর্ষণ, অস্বাভাবিক খুনের মতো গুরুতর মামলার ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তম বেঞ্চ।
রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে ৪টি বিশেষ দল গঠন CBI-এর, দায়িত্বে ২৪ আধিকারিক
Read More-ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে চলবে বৃষ্টিপাত, উত্তরবঙ্গে জারি সর্তকতা
এদিকে অন্য অশান্তির ঘটনা যেমন ভাঙচুর করা, মারধর করা, ঘরছাড়ার মতো কম অশান্তির মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মূলত, সুমন বালা সাহু, পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, রণবীর কুমার- এই তিন সদস্যকে নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে কাজ করবে বিশেষ তদন্তকারী দল। সিবিআই ও সিট দুজনকেই ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Read More-টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস! কেষ্টপুরে পুলিশের হানা
পাশাপাশি, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে। সেইসঙ্গে যে ঘটনাগুলি ভোট পরবর্তী হিংসা ঘটনা বলে বিবেচিত হবে না, সেগুলি রাজ্য পুলিশের হাতে যাবে। এছাড়া রাজ্য যে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষপাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তা খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। তাছাড়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক এই মামলায় যুক্ত হওয়ার যে আবেদন জানিয়েছিলেন, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। ৪ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টের কোনও ডিভিশন বেঞ্চে।
Read More-বিশ্বব্যাপী ভৌগলিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনে প্রভাবিত হতে পারে ভারতের সার্বিক নিরাপত্তা: রাজনাথ সিং
উল্লেখ্য, এই ৩ অগস্ট এই মামলার শুনানি শেষ হয়। এর আগে ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি কমিটি গঠন করে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আদালতকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এরপর ৩০ জুন একটি গোপন অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ২ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশে দেয়, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে।