গত মঙ্গলবারই ভারতের ভিত্তিগত সাক্ষরতা সূচকের (Index on Foundational Literacy and Numeracy) তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সূচক তালিকায় বড় রাজ্যগুলির মধ্যে একেবারে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আর একেবারে নীচে রয়েছে বিহার।
আর তুলনামূলক ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে কেরল রয়েছে শীর্ষে এবং সবশেষে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। উল্লেখ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এই সাক্ষরতা সূচক তৈরি করা হয়। মূলত ১০ বছরের নীচে থাকা শিশুদের সাক্ষরতা ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্য সুবিধা সবদিক বিচার করে এই তালিকা তৈরি হয়। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে ইকোনমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের (EAC-PM) চেয়ারম্যান বিবেক দূবে এই তালিকা প্রকাশ করেছেন। এই তালিকাতেও এগিয়ে বাংলা। ফলে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বাংলার এই সাফল্যে খুশি। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি টুইট করে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত সমস্ত ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন টুইট করে জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটা দারুণ খবর! আমরা ‘Index on Foundational Literacy and Numeracy’ তালিকায় বড় রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে আছি। আমি রাজ্য়ের সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, অভিভাবক এবং শিক্ষা দফতরের সমস্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি’। প্রসঙ্গত, ভিত্তিগত সাক্ষরতা সূচক চারটি বিভাগে তৈরি করা হয়। যেমন বড় রাজ্য, ছোট রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত রাজ্য এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি। এই সূচক তৈরি হয় দশ বছরের নীচের পড়ুয়াদের শিক্ষার পরিবেশ এবং পরিকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে। মূলত পাঁচটি বিষয় বা ভিত্তি বিচার করা হয়। যেগুলি হল, শিশু শিক্ষার পরিকাঠামো, শিক্ষার সুযোগ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য, শিক্ষার ফলাফল এবং প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা এই তালিকায় বড় রাজ্যগুলির মধ্যে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। পরেই আছে তামিলনাড়ু (৫৫) ও মহারাষ্ট্র (৫৩)। ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সবশেষে রয়েছে বিহার। ছোট রাজ্যগুলির তালিকায় ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কেরল। এরপরই আছে হিমাচল প্রদেশ (৫৭) ও পাঞ্জাব (৫৬)। সব শেষে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে শীর্ষে লক্ষদ্বীপ (৫২.৬৯) এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্য়গুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মিজোরাম (৫১.৬৪)।