More
    Homeরাজনৈতিকরাজ্যের সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচন করার দাবি নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে...

    রাজ্যের সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচন করার দাবি নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল

    রাজ্যের সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচন করার দাবি নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদল যাচ্ছে দিল্লিতে, নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যের সাতটি বিধানসভায় উপনির্বাচন করানো হোক। সাত দিনের সময় দিয়ে নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে। সেই সময়ে মমতা এও বলেছিলেন, আগে বিধানসভার উপনির্বাচনগুলো হয়ে যাক তারপর আমরা আমাদের এখানকার পুরসভা ভোটগুলো করিয়ে নেব। এর পর দেখা যায় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের কাছে একটি চিঠি আসে। তাতে নবান্নের কাছে নির্বাচন সদন জানতে চায়, রাজ্যসভার দুটি আসনে এই মুহূর্তে ভোট করাতে চায় কিনা? দুটি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা রয়েছে বাংলা থেকে। মন্ত্রী হওয়ার কারণে রাজ্যসভা ছেড়েছেন মানস ভুঁইয়া। অন্যদিকে দীনেশ ত্রিবেদী আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন তৃণমূলে দমবন্ধ হয়ে আসছিল বলে। সূত্রের খবর, এই চিঠি পাওয়ার পরে রাজ্যের তরফ থেকে লেখা হয়, রাজ্যসভার দুই আসনে নির্বাচন করালে অসুবিধা নেই। তবে রাজ্যে সাতটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। সেই উপনির্বাচন যাতে করানো হয়, সেই প্রসঙ্গও চিঠির উত্তরে জানিয়েছে রাজ্য। জানা গেছে, এই চিঠির আর উত্তর এখনও পাঠায়নি কমিশন। শুধু তাই নয়, এই উপনির্বাচন নিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই খবর। এক আধিকারিকের কথায়, রাজ্যের ওই চিঠি পাঠানোর পরে এই নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও রকম বার্তা আসেনি। এবার তৃণমূলের তরফ থেকেও কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে এই সাত আসনে উপনির্বাচনের কথা বলা হবে। রাজ্যের যে সাতটি আসনে নির্বাচন বাকি আছে সেগুলি হল, ভবানীপুর, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা, জঙ্গিপুর ও শামসেরগঞ্জ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়ালেও তিনি হেরে গিয়েছেন। যদিও নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই মামলা এখনও চলছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকতে গেলে ছ’মাসের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। না হলে জটিলতা তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকেই দাঁড়াবেন। এই আসনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন বলেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই আসন থেকে দাঁড়িয়ে জেতার পরেও ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁকে দল দাঁড় করাচ্ছে খড়দহ থেকে। তৃণমূলের অনেকে সন্দেহ, বিজেপিই আসলে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এসব করাচ্ছে। উপনির্বাচন নিয়ে গা করা হচ্ছে না। শাসক নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, আসলে বিজেপির লক্ষ্য, মমতাকে বিপাকে ফেলা। যদি ভোট না হয় ছ’মাস হয়ে গেলে তাঁকে সরে যেতে হবে। ঠিক এই জায়গাটাতেই আশঙ্কার মেঘ দেখছে তৃণমূল।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments