More
    Homeকলকাতারাজ্যের ৭ বিধানসভায় উপনির্বাচনে দাবিতে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    রাজ্যের ৭ বিধানসভায় উপনির্বাচনে দাবিতে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    রাজ্যের ৭টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন নিয়ে যখন তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে দড়ি টানাটানি কার্যত তুঙ্গে উঠেছে, ঠিক তখনই ওই ৭টি আসনে বকেয়া নির্বাচন দ্রুত সেরে ফেলতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার এই মামলা দায়ের করেছেন এবং আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলায় ‘পক্ষ’ হিসেবে শুধু নির্বাচন কমিশনকেই নয় যুক্ত করা হতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এমনকি, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেও।

    রাজ্যের ৭ বিধানসভায় উপনির্বাচনে দাবিতে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    Read More-এবার থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাবে পড়ুয়ারা, ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক পদ খালি থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক মানুষ সমস্যায় পড়েন। তাই সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো ভোট করানো জরুরি। আর সেই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ ক্ষেত্রে উপনির্বাচনের সময়সীমা পেরিয়ে যেতে বসলেও, এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি কমিশন। তারই বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’ এটা ঘটনা যে, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর চার মাস পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশন ভোট নিয়ে টুঁ শব্দটিও করছে না। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও বিধায়ক নন। তাঁকে এই ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে কোনও ১টি থেকে জিতে আসতে হবে। নাহলে ৫ নভেম্বরের পরে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। যা রাজ্য জুড়ে এক অস্থিরতা তৈরি করবে। তাই তৃণমূলের তরফেও এহেন পরিস্থিতি এড়াতে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে দ্রুত ভোট ঘোষণার জন্য। তার মধ্যেই এই জনস্বার্থ মামলা।

    Read More-Bihar Police Constable Arrested: সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলা সহকর্মীর অর্ধনগ্ন ছবি আপলোড, গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবল

    যদিও গতকালও পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচন নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সেখানে এ রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনই ভোট করাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা নেই। সম্ভব হলে এ মাসেই ভোট গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ অক্টোবর মাসে পুজোর ছুটি রয়েছে। উত্‍সবের মরসুমে ভোট গ্রহণে অসুবিধাও রয়েছে। তার পর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে বকেয়া আসনগুলির উপনির্বাচনের সময়সীমা। ফলে ভোট করার পক্ষে সেপ্টেম্বর উপযুক্ত সময়। তবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments