রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) ঘটনায় বীরভূমের কাঁকরতলায় বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন বাগদি খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার তিন। ধৃতদের নাম বাহাদুর বাগদি, চন্দন গড়াই ও প্রমিলা বাগদি।কাঁকরতলা মিঠুন বাগদি খুনের ঘটনায় এই তিন জন পলাতক ছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, এই তিন জনের সঙ্গে খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে, দাবি সিবিআইয়ের। ধৃতদের জেরা করে এই খুনে আর কারা জড়িত জানার চেষ্টা চলছে। ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য গত ১২ জুন ঘটনাটি ঘটে। বীরভূম জেলার খয়রাসল ব্লকের কাঁকরতলা থানার অন্তর্গত নবশন গ্রামের বিজেপি বুথ সহ সভাপতি মিঠুন বাগদি খুন হন। রড,বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিধানসভা নির্বাচন আবহে নবশন গ্রাম থেকে ১০০ মিটার দূরে স্থানীয় যুবক রাজু বাগদির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন মৃত রাজু বাগদি আদতে তৃণমূল কর্মী। সেই খুনের ঘটনায় নাম উঠে আসে বিজেপি বুথের সহ -সভাপতি মিঠুন বাগদির।
এরপরই গ্রেফতার হওয়ার তিন মাসের মধ্যে জামিনে মুক্তি পান মিঠুন বাগদি। মিঠুন বাগদি এরপর গ্রামে ফিরলে তাঁর উপর বেধড়ক মারধর করে রাজুর পরিবার বলে অভিযোগ। তাঁকে রড, বটি, কাটারি দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ।
গুরুতর আহত অবস্থায় মিঠুনকে রাস্তায় থেকে উদ্ধার করে নাকড়াকোন্দা প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। মিঠুনের পরিবার এরপর সিবিআই তদন্তর জন্য আবেদন করেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এরপর ভোট পরবর্তী হিংসা খুন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলির তদন্ত সিবিআই শুরু করে। মিঠুন বাগদি খুনের ঘটনায় এরপর গত ২৮ অগাস্ট প্রথম সিবিআই প্রতিনিধি দল নবসন গ্রামে পরিদর্শনে যায়। মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। এই খুনের ঘটনায় সিবিআই যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে তাদেরকে জেরা করে আর কারা জড়িত সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করবে সিবিআই আধিকারিকরা।