রাজ্যে সাত বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন এখনই করার দাবি নিয়ে ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টে নাগাদ দিল্লিতে নির্বাচন সদনে যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। থাকবেন সৌগত রায়, সুখেন্দু শেখর রায়, জহর সরকার, সাজদা আহমেদ ও মহুয়া মৈত্র। নির্বাচন কমিশন সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে এখনও কোনো উচ্চবাচ্য করছে না।
রাজ্যে সাত বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন করার দাবি নিয়ে ফের নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল
Read More-কলকাতা সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গে জারি সতর্কতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই উপ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বেশ ভাল। যে কোনও দিন উপনির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া যেতে পারে। সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা না থাকা নির্ভর করছে। কারণ তাঁকে আগামী আর দু’মাসের মধ্যে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। এই সাত কেন্দ্রে নির্বাচন ঝুলে থাকায় এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো এই ব্যাপারেও করোনার বিপদ ছাপিয়ে তৃণমূল-বিজেপি বিবাদই মুখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন তীব্র হছে দু’দলের সংঘাত। গেরুয়া শিবির স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা এখন উপনির্বাচন চায় না।বিজেপির বক্তব্য এখন উপনির্বাচন সম্ভব নয়। তার জন্য ৮টি কারণের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
Read More-ফের মাদক মামলায় রকুলপ্রীত সিং, রানা দুগ্গুবতী সহ দক্ষিণী ছবির একাধিক তারকাকে তলব ইডি-র
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিজেপি আর হারের মুখ দেখতে চাইছে না। তাই এভাবে উপনির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে। নির্বাচন কমিশনের রীতি অনুযায়ী, নির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করে ফেলতে হয়। সুতরাং উপনির্বাচন হওয়া উচিত নভেম্বর মাসের মধ্যে। তাই নানা ছক করে গড়িমসি করা হচ্ছে।
যে ৮টি কারণ বিজেপি তুলে ধরেছে সেগুলি হল—
১. রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখনও চলছে
২. রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাস চলছে কম যাত্রী নিয়ে
৩. সেপ্টেম্বর–অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে
৪. অক্টোবর মাস হল উৎসবের মাস
৫. পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কার্যকর করে রেখেছে।
৬. দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরী–সহ শীর্ষ বিজেপি নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করে
৭. রাজ্য সরকার ১২২টি পুরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছে
৮. রাজ্য সরকারের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সুতরাং উপনির্বাচন এখন অপরিহার্য নয়।
এই আটটি কারণ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। উপনির্বাচনের বিষয়ে বিভিন্ন দলের মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনে যাবেন এই মতামত জানাতে।