Today Kolkata:- রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তুলিকা দাহ করে জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধ। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে সারা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলছে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ। শনিবার নদীয়ার শান্তিপুরেও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন জাতীয় কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা।
চার বছর আগের মানহানির মামলার জেরে তাঁকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বিক্ষোভরত জাতীয় কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা এই ঘটনাটিকে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেই মনে করছেন। যেকোন বিরোধী স্বরকে গরদে পুরে শাসন ক্ষমতা নিস্কন্টক করতে চায় মোদি সরকার বলে অভিযোগ জেলা জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সি গুলোকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অনাবশ্যক ব্যবহার এই অপচেষ্টারই ইঙ্গিত দেয়, রাহুল গান্ধীর কন্ঠরোধ এক কথায় গনতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরার সামিল বলে জানান জেলা নেতৃত্ব।
দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় অপশাসনের বিরুদ্ধে বাংলায় নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় কংগ্রেসের আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায়। এদিন শান্তিপুর শহর জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গোবিন্দপুর বাইপাস অবরোধ করে প্রায় আধঘন্টা যাবৎ, সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর কুসপত্তুলিকা দাহ করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের অনুরোধে তারা সেখান থেকে অবরোধ তুলে নিলেও পার্শ্ববর্তী শান্তিপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন এক নম্বর রেল গেটে, লেভেল ক্রসিং এ অবরোধ করে। সেখানেও প্রায় আধ ঘন্টা যাবৎ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে জাতীয় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা।
ঘটনার খবর পেয়ে রেল ও আর পিএফ এর বিভিন্ন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের অনুরোধ জানালে অবরোধ ওঠে।
এদিনের জাতীয় কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, নদিয়া জেলা জাতীয় কংগ্রেস শ্রমীক সংগঠনের সভাপতি অলক চ্যাটার্জী, প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য সোমনাথ কুন্ডু, শহর কংগ্রেস সভাপতি রাজু পাল, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতৃত্ব বিজন ঘোষ, শ্যামল দে সহ বিভিন্ন জাতীয় কংগ্রেস এবং গণসংগঠনের নেতৃত্বরা।