বুধবার গভীর রাতে চন্দননগর স্ট্যান্ড রোডে রানীঘাটের কাছে দেখা যায়, একটি লালবাতিওয়ালা সাদা স্করপিও গাড়িতে দুই সঙ্গীকে নিয়ে মদ্যপান করছেন এক পুলিশ অফিসার! ব্যাপার বুঝতে কাছে গিয়ে চন্দননগর থানার পুলিশ গাড়িতে বসা পুলিশ অফিসারের পরিচয় জানতে চাইলে সে সদর্পে জানায় ‘আমি ডিএসপি সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী’। কিন্তু মুখে বললেই কী আর হয়! সন্দেহ হয় পুলিশের। থানায় ধরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে পড়ে তিনি ভুয়ো পুলিশ অফিসার। তাঁর পরনে ছিল একেবারে অবিকল ডিসিপি’র উর্দি, কাঁধে ছিল তিনটি তারা।
লালবাতি গাড়িতে বসেই মদ্যপান, চন্দননগরে ধৃত ভুয়ো ডিএসপি
Read More-রূপোলি পর্দায় আসছে সৌরভ গাঙ্গুলির বায়োপিক! টুইটারে জানালেন নিজেই
ভুয়ো পুলিশ অফিসার সিদ্ধার্থ পুলিশের জেরায় জানিয়েছেন, তিনি ইংরেজি অনার্স পাশ। তাঁর বয়স সাড়ে আঠাশ বছর। তিনি চন্দননগর বক্সি গলির বাসিন্দা। তিনি আগে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভের কাজ করতেন। এক সময় গাড়িও চালিয়েছেন। সেই সুবাদে জেলা প্রশাসনের গাড়ি চালায় এমন কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর আলাপও রয়েছে। বর্তমানে তিনি কিছুই করেন না। তাঁর স্ত্রী টেকনো ইন্ডিয়াতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা।
Read More-পুজোর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পারিবারিক পেনশন বৃদ্ধি করল নবান্ন
পুলিশের তরফে জানা গেছে, বুধবার রাত ১১টা ১৫ নাগাদ চন্দননগর স্ট্যান্ড রোডে রানীঘাটের কাছে একটি সাদা স্করপিও গাড়ি কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। গাড়িটির নম্বর WB 19J 7988। গাড়িটিতে লালবাতি ও হুটার লাগানো ছিল। সামনে ‘গভঃ অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ স্টিকারও লাগানো ছিল। সন্দেহ হয় পুলিশের। রানীঘাট থাকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চন্দননগর থানা। পুলিশ গিয়ে গাড়িটিকে আটক করে।
Read More-মুকুটে নতুন পালক! দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চতুর্থ স্থানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
গাড়ির মধ্যে পুলিশের পোশাক পড়া একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসা করলে সে নিজেকে ডিএসপি পরিচয় দেয়। সোল্ডারে তিনটে তারা পুলিশের পোষাক বুকে নেমপ্লেট দেখে তাঁকে ভুয়ো সন্দেহ করার কোনো উপায় নেই। কথা বলতেই মুখে মদের গন্ধ পেয়ে সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। চন্দননগর পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। আজ তাঁকে চন্দননগর আদালতে তোলা হবে।
Read More-সুখবর! EMI-এর সুবিধা এবার ডেবিট কার্ডে, সুযোগ দিচ্ছে SBI