Today Kolkata:- এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিরাশী শিক্কার থাপ্পর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর গালে। ছাত্র আন্দোলনের জেরে বিশ্বভারতীর সাতজন পড়ুয়াকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়ে নির্দেশ দেয় আগামী 48 ঘন্টার মধ্যে ওই সাত পড়ুয়ার ওপর থেকে সমস্ত রকমের সাসপেন সাসপেনশন খুলে দিতে হবে বিশ্বভারতী কে।
পাশাপাশি বিচারপতি জানিয়ে দেন , সাসপেন্ড হওয়ার সাতজন পড়ুয়াকে নতুন করে আদালতের কাছে বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে কোনভাবেই ক্ষমা চাইতে হবে না। উপরন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যেভাবে সাতজন পড়ুয়াকে যে পদ্ধতিতে সাসপেন্ড করেছিল তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। অপরদিকে বিশ্বভারতীর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায় পড়ুয়াদের সাসপেনশনের আদেশ বহাল রাখা স্বপক্ষে কোন প্রকার কাগজপত্র জমা দিতে পারিনি আদালতকে। বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়ে দেন, বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও শিক্ষকের সম্পর্ক যাতে আরো সুদৃঢ় হয় সে দিকেও নজর দিতে হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এবার প্রথম নয় যে কলকাতা হাই কোর্ট এর কাছে বিশ্বভারতী নতজানু হলো।
এর আগেও একাধিক মামলায় হাইকোর্ট বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কে ভৎসনা করেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এই বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অধ্যাপিকা, এবং পড়ুয়াদের ওপর মামলা দিয়ে জব্দ করে নিজের স্বেচ্ছাচারিতা করে যেতে চাইছ উপাচার্য এদিন বিচারপতির নির্দেশে সেটাই প্রমাণিত হলো। উপাচার্যের বিরুদ্ধে এতদিন ধরে সকলে যে অভিযোগ করে এসেছে একের পর এক আদালতের রায় সেই অভিযোগ গুলোকেই মান্যতা দিয়েছে।
যদিও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যিনি বিশ্বভারতী কে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে যে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন গত চার বছর ধরে তার নিরসন একমাত্র আদালত এই সম্ভব এমনটাই দাবি প্রবীণ আশ্রমিক সুবোধ মিত্র সহ অন্যান্যদের। সুপ্রিয় ঠাকুর যিনি বিশ্বভারতীর শাখা-প্রশাখা সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত , তিনি সাফ জানিয়েছেন আদালতের রায়ে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি উপাচার্য অন্যায় করছে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি নীতি-আদর্শের সাথে। আদালত এই যোগ্য হতে হবে বারবার। শিক্কার থাপ্পর