অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো শিলিগুড়িতে। ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি পুরনিগমের অন্তর্গত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মহাকালপল্লীতে। এখানে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার গোডাউনে হঠাত্ করেই ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে তাঁরা বুঝতে না পারলেও পরে গোডাউনের কাছে গিয়ে দেখতে পান ভেতরে জ্বলছে আগুন।
শিলিগুড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড! ঘটনাস্থলে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন
Read More-করোনা আক্রান্ত বর্ষীয়ান সংগীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর, ভর্তি ICU-তে
ধীরে ধীরে আগুন বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত হন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকল বাহিনী।
জানা যায়, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গোডাউনে আগুন লাগে। শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিসংযোগ হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। পরে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানোর সময় সিলিন্ডার বাস্ট হওয়ার কারণে আগুন আরও অনেকটাই ছড়িয়ে যায় বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন শিলিগুড়ি দমকল বিভাগের তিনটি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্তর্গত পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ।
গোডাউনের মালিক জানান, আগুন ভেতরে অনেকটা বেশি ছড়িয়ে যাওয়ায় আসবাবপত্র সহ বেশকিছু অফিসের নথিপত্র জ্বলে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও যথেষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রভৃতি মজুত করা ছিল গোডাউনে। অগ্নিসংযোগের ফলে সেগুলিও নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যে দমকল বাহিনীর তত্পরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে দমকল বাহিনীর আধিকারিক অজিত ঘোষ বলেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু গোডাউনের ভেতর বেশিরভাগ জিনিসপত্র জ্বলে গিয়েছে। তাই গোডাউনের ভেতরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায় নি। আদৌ শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। জনবহুল এমন এলাকায় গ্যাস গোডাউন করার অনুমতি থাকে কিনা সে বিষয়ে দমকল আধিকারিক বলে, প্রাথমিক স্তরে এখন আগুন নেভানোর কাজই করা হচ্ছে। এরপর সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।