কোচবিহারের শীতলকুচি ঘটনায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গঠন করা হল বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। বৃহস্পতিবার সিটের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার তদন্তকারী অফিসারকে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে। তলব করা হয়েছে মাথাভাঙা থানার আইসিকেও।
বুধবারই সরানো হয়েছে কোচবিহারের এসপি দেবাশিষ ধরকে। সেই সঙ্গে তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। আর এবার তাঁকেই ডেকে পাঠানো সিআইডি’র কার্যালয় কলকাতার ভবানীভবনে। সেখানেই তাঁকে করা হবে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিনই শীতলকুচির ঘটনায় তদন্তের জন্য স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং টিম বা সিট গঠন করা হয়েছে। সেই সিটই এবার শীতলকুচি কাণ্ডে তদন্ত করবে। জিজ্ঞাসাবাদের কাজও করবে। দেবাশিষ ধরকে তাঁদের সামনেই হাজিরা দিতে হবে। আর শুধু দেবাশিষ ধর নয়, একে একে ডেকে পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও আধিকারিকদেরও। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে সিআইডি। চার সদস্যের এই সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন সিআইডির ডিআইজি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের। গত ১০ এপ্রিল রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের জোরপাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথে সিআরপিএফের গুলি চালনার ঘটনায় মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসী তথা ভোটারের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে গুলিচালনার স্বীকার করে নেওয়া হয়। তবে বলা হয়, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয়েছিল কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানদের। আচমকাই ৩০০-৪০০ জন উন্মত্ত গ্রামবাসী তাঁদের ঘিরে ধরেছিল, আর পরিস্থিতি সামলাতেই গুলি চালাতে হয়। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ভোটের দিন একটি বাচ্চাকে মারধর করার ঘটনা নিয়েই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার জেরেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় সিআরপিএফ। তবে ঘটনার পর থেকেই একাধিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, শীতলকুচিতে ঠিক কী ঘটেছিল, কতটা ভয়ঙ্কর হয়েছিল পরিস্থিতি, যার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা!