গতকাল রবিবার ছিল এ বছরের শীতলতম দিন । কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.৬ ডিগ্রিতে। এমনিতে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রোদ্দুর পিঠ দিয়ে সারাদিন আমেজে কাটিয়ে দিল শীতের কলকাতা। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে পারদ নেমেছিল অনেকটাই। বেশ কয়েকটি জেলায় ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছিল তাপমাত্রা। দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম ও দুই মেদিনীপুরে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। তবে আজ মঙ্গলবার থেকে সামান্য হলেও তাপমাত্রা বেড়েছে। কিন্তু বর্ষবরণের আগে শীতের কনকনানি আমেজ বঙ্গবাসীকে ছেড়ে যাচ্ছে না। সাতসকালে কুয়াশার চাদর অনেক পাতলা হয়েছে। তাই ঝকঝকে রোদ্দুরে ডিসেম্বরের পড়ন্ত বেলায় শীতের কোনও ঘাটতি নেই।
তাই বর্ষবরণে জমিয়ে শীত আর বাহারি খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে উদযাপন বেশ ভালোই হবে বলে আশা করা যায়। সমতলে যখন শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস তখন পাহাড়ে তো তা অবধারিত। এই জাঁকিয়ে শীতেই পর্যটক সমাগমে উচ্ছল দার্জিলিং। চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতিও। করোনাকালে সমস্ত নিয়মকানুন ভেঙে দুদিন আগেই পার্কস্ট্রিটের জনারণ্য দেখেছে শহর কলকাতা। মুখে মাস্ক থাকলেও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-কে দূর দূর তাকিয়েও চেনা যায়নি। এদিকে করোনার নতুন প্রজাতির আতঙ্ক এখনও তাড়া রে ফিরছে। ইংল্যান্ডে ক্রিসমাস বর্ষবরণের যাবতীয় সেলিব্রেশনে পড়েছে লকডাউনের ছায়া। সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে জোরদার প্রচার।
শীতের আমেজে বছরের শেষ কয়েকটা দিন উদযাপনে মেতেছে বাঙালি। করোনা ভয়কে দূরে সরিয়ে রেখে বর্ষবরণের আগের তিনটি দিন চেটেপুটে উপভোগ করতে সবাই বেরিয়ে পড়েছেন পথে। উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গেই বর্ষবরণ হতে চলেছে রাজ্যে।