ডিসেম্বরের (December) প্রথম সপ্তাহ কেটে গেলেও জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্র ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। সকালের দিকে আকাশ কিছুটা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা পরিস্কার হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
এদিকে জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় এখনও পর্যন্ত তা উপভোগ থেকে বঞ্চিত বঙ্গবাসী। কারণ শীত মানেই খাওয়া দাওয়া এবং মিঠে রোদ পিঠে মেখে ঘোরাফেরা। কিন্তু এই বছর কনকনে ঠাণ্ডা এখনও ধরা না দেওয়ায় শীতের পিকনিকের মেজাজ দেখা যাচ্ছে না। একদিকে করোনা আহব অন্যদিকে শীতের লুকোচুরি, যার ফলে এখনও সেভাবে ভীড় দেখা যাচ্ছে না ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানার মতো দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতে। এদিকে ইতিমধ্যেই চিড়িয়াখানায় আবার হাজির নতুন অতিথি। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আশা, আরও একটু শীত পড়লে হয়ত বাড়বে ভিড়।
এছাড়া তাপমাত্রার পারদ এখনও সেভাবে না নামায় ভাটা পড়ছে মনপসন্দ খানাপিনাতেও। কারণ শীত মানেই নলেন গুড় বা খেঁজুরের গুড়। কিন্তু শীত কম থাকায় গাছে সেভাবে রস হচ্ছে না। আর রসই যদি কম হয় তবে পর্যাপ্ত গুড় তৈরি হবেই বা কীভাবে? সেক্ষেত্রে শীতের নলেন গুড় বা খেঁজুরের গুড়ের স্বাদ এবং তা থেকে তৈরির মোয়া বা অন্যান্য খাবারও চেখে দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খাদ্যরসিকরা। ফলে এখন শুধু হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার অপেক্ষতেই শীতপ্রেমীরা।