বুধবার সন্ধেয় বাগবাজার ব্রিজ সংলগ্ন বস্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে সংলগ্ন মায়ের বাড়ির উদ্বোধনী কার্যালয়ে। মায়ের বাড়ির ওই অফিসের গ্রন্থাগার ও বেশ কয়েকটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে গিয়েছে আসবাবপত্র। তবে মহারাজদের চেষ্টায় কোনওমতে কিছু নথি ও বইপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়। মহারাজদের দ্রুত ওই কার্যালয় ছাড়ার আবেদন জানিয়েছে দমকল।
এদিকে, এদিন সন্ধে থেকে ঘটনাস্থলে একে একে এসে পৌঁছয় ২৭টি দমকলের ইঞ্জিন। তা সত্ত্বেও ২ ঘণ্টার টানা চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। গোটা বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। আগুনের লেলিহান শিখা বাগবাজার উইমেনস কলেজকেও ছুঁয়ে ফেলে। সেখানে জল দেওয়ার চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। পাশের বহুতলেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এক–একটা গ্যাস সিলিন্ডার ভয়াবহ আওয়াজে বিস্ফোরণ হতে থাকে।
এদিকে, আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন একজন দমকলকর্মী। বেশ কয়েকজন দমকলকর্মী অসুস্থও হয়ে পড়েন। যদিও দমকলের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে এলাকায় আনতে হয় র্যাফ–কে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
এদিকে, এদিন সন্ধে ৭টা থেকে গিরিশ পার্ক–সেন্ট্রাল রুটে যান চলাচল একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাত ৯টা পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, উত্তরমুখী রাস্তায় এখনও বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। শীতের রাতে কলকাতার বুকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়লেন কয়েক’শ মানুষ। আপাতত আগুড় ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল।