নন্দীগ্রাম আসনে হেরে যাওয়ার পর ইতিমধ্যেই ওই আসনে পুনর্গণনার দাবিতে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও। আর এবার ‘গণনায় কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। পুনর্গণনার দাবি নিয়ে আমরা আদালতে যাব। সব ইভিএম আবার গণনা করতে হবে।’ বলে দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
আজ হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে জয়ী বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানের পর ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে মুরলিধর সেন লেনের বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে ধরনা কর্মসূচীতে সামিল হন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, জয়প্রকাশ মজুমদার, স্বপন দাশগুপ্ত সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা নেত্রীরা।
ওই ধরনা মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও, গণনার নামে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। অনেক গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-র এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারচুপি হয়েছে।’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘তার ফলেই বিজেপি ১০০-র কম আসন পেয়েছে। সরকার গড়তে না পারলেও আমরা আরও অনেক বেশি আসন পেতাম।’ বলেও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।পাশাপাশি ধরনা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘গণনাকেন্দ্রে করোনা সংক্রমণ রুখতে দূরত্ব বিধি মেনে চলার কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ফলে একটি ঘরে ৭টি করে টেবিল রেখে গণনা হয়েছিল।’ সেই বিষয়েও কমিশনের সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি গণনা টেবিলের মধ্যে ৬ ফুট করে দূরত্ব রাখা হয়েছিল। ফলে অনেক জায়গায় এজেন্টরা সঠিক ফলাফল দেখতেই পাননি।’ তাঁর আরও দাবি, ‘ গণনা ঠিক হলে আমরা আড়াই কোটির বেশি ভোট পেতাম।’