সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে জমি আন্দোলনের কথা স্মরণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই সিঙ্গুরে আমি ১৪ দিন ধরে অনিচ্ছু চাষীদের সমর্থনে জমি আন্দোলনে অনশন করেছি। সেদিন আমাদের উপর নানাধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছিল নানা পক্ষ থেকে কিন্তু শেষমেষ আমরাই জয়ী হয়েছিলাম। সেদিনের সেই সমস্ত ঘটনার সাক্ষী এই জেলার সাংবাদিকরা, সেদিন আমার সঙ্গে তারা দিনরাত ছিল, তারা জানেন সেই সমস্ত দিনের কথা।“ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গুরে চাষযোগ্য জমি ফেরত দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘যেভাবে দিনের পর দিন গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে কেন্দ্রীয় সরকার, তার জন্য সাধারণ মানুষের পক্ষে জীবনধারন করাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা আমাদের সাধ্যমতো উন্নয়নের কাজ করে চলেছি।’ রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান দিয়ে তিনি জানান, ‘এই জেলায় আরামবাগে আমরা প্রফুল্লচন্দ্র সেনের নামে মেডিক্যাল কলেজ করছি, শ্রীরামপুরের সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল করেছি ন্যায্য মূল্যের দোকান করেছি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র করেছি ফুরফুরা রাধানগর রাস্তার উপরে মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর সেতু করেছি, বলাগরে ইকো ট্যুরিজম পার্ক করেছি, খুব শীঘ্রই তা চালু হবে ।
মহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কার করেছি রাধাবল্লব মন্দিরের সংস্কার করেছি চন্দন নগরের নিউ দিঘা পর্যটন কেন্দ্র করেছি, ওখানকার লালদিঘির সংস্কার করেছি অত্যন্ত সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্য দিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে অথচ আমাদের ন্যায্য পাওনা কেন্দ্রীয় সরকার বারবার আবেদন সত্ত্বেও পাওনা টাকা দিচ্ছে না। হুগলির আলু চাষীরা যাতে আলুর ন্যায্য দাম পান তার জন্য আমরা আলু প্রোকিরয়মেন্ট করছি।
এর ফলে চাষীরা উৎপন্ন ফসলের দাম বেশি পাবে।২০০৬ -এর ২৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনা৷ ওই দিন সিঙ্গুর বিডিও অফিসে আন্দোলনরত মানুষের পাশে হাজির হয়েছিলেন মমতা৷ বলা হয়েছে — মানুষের বক্তব্য ছিল , শিল্প হোক এমন জমিতে যেখানে কৃষির সম্ভাবনা নেই৷ আর শিল্প গড়তে এত জমিই বা লাগবে কেন ? সেই চিন্তা থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর বিডিও অফিসে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সামিল হন মানুষ , ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ প্রসঙ্গত , ওই দিন রাতেই বিডিও অফিস থেকে মমতাকে আটক করে পুলিশ কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছিল৷
অধ্যায়ের শেষ পর্বে এসেছে জমি ফেরতের প্রসঙ্গ৷ বলা হয়েছে —অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরো জায়গাটা বদলে গিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন , ‘কৃষিজমিতে বিশ্বে মডেল হবে সিঙ্গুর৷ কৃষকদের নামে মনুমেন্ট হবে৷ ’ বস্ত্তত এই কৃষক আন্দোলন ভারতবর্ষে নজিরবিহীন৷ পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে এই আন্দোলন কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সংযোজন করল৷ সিঙ্গুরের মাটিতে