শনিবাররাত নটা নাগাদ পরপর বিকট শব্দে কেঁঁপে উঠল সোদপুর। একসঙ্গে একাধিক সিলিন্ডার ফাটায় এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। দাউদাউ করে আগুনের কুণ্ডুলি প্রায় ছ’তলা বাড়ির সমান উচ্চতায় পৌঁছয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, নাটাগড়, ঘোলা এলাকার মানুষজনের দিব্য মালুম হয়েছে, বড় কিছু ঘটেছে। সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডের উপর অমরাবতী এলাকায় অটোতে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত ৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেআইনিভাবে এই গ্যাস ফিলিং করতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটেছে। অভিযোগ, এলাকায় এমন অনেক বেআইনি গ্যাস ফিলিং সেন্টার গজিয়ে উঠেছে। রাত নটা নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অমরাবতী, এইচবি এলাকায়। বোমাতঙ্কে উদভ্রান্তের মতো এদিক ওদিক ছুটতে থাকেন পথ চলতি মানুষ। খবর পেয়ে ঘোলা থানার পুলিশ এসে দোকান টিকে সিল করে দেয়। পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। দোকানের পাশে রয়েছে কয়েকটি বসতবাড়ি। বিস্ফোরণ ঘটতেই তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফ্ল্যাটবাড়ির উপর থেকে তাঁরা নীচে নেমে আসনে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় অনেকের বাড়ির জানলা দরজার কাচ চুরমার হয়ে গিয়েছে। তাতে আহতও হয়েছেন অনেকে। দোকানটির পাশের বাড়িতে এক বৃদ্ধা থাকেন। তিনিও বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাড়ির এক সদস্যা জানিয়েছেন, তিনি আচমকাই বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে জানলার দিকে ছুটে যান। তাঁদের মনে হয়েছিল বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু পরে বিষয়টি তাঁদের কাছে পরিষ্কার হয়। দোকানের আশপাশের অনেক বাড়ির বাসিন্দা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি গ্যাসের গোডাউন। সেখানেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে।