উত্সবের মরশুম, কেনাকাটার চাপ। তবে এসবিআই(sbi) -এর তরফে এব্যাপারে ডেবিট কার্ডে (debit card) ইএমআই (emi) -এর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যার জেরে কোনও গ্রাহককে বড় অর্থ খরচ করতে হবে না। ইএমআই-এর সুবিধা ক্রেডিট কার্ডে পাওয়া গেলেও এবার ডেবিট কার্ডে ইএমআই-এর সুযোগ দিচ্ছে দেশের সব থেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই।
সুখবর! EMI-এর সুবিধা এবার ডেবিট কার্ডে, সুযোগ দিচ্ছে SBI
Read More-মুকুটে নতুন পালক! দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চতুর্থ স্থানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
এসবিআই-এর তরফে বলা হয়েছে, যদি কোনও গ্রাহক ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড দিয়ে টিভি, ফ্রিজ, এসি-র মতো হোম অ্যাপ্লায়েন্স কেনেন অথবা অনলাইন শপিং করেন, তাহলে সেই গ্রাহককে ইএমআই-এর সুবিধা দেওয়া হবে। একটি দোকানে গিয়ে একটি পিওএস মেশি থেকে টাকা দেওয়ার পরে গ্রাহক বিভিন্ন কিস্তিতে তার পরিশোধ করতে পারেন। এর ফলে অ্যাকাউন্ট থেকে একবারে মোটার অঙ্কের টাকা যাবে না। অন্যদিকে গ্রাহকও নিজের সুবিধা মতো ইএমআই-এর সংখ্যা বেছে নিতে পারবেন। যদি কোনও গ্রাহক অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করেন, তাহলে সেখানে এসবিআই-এর ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দিয়ে ইএমআইতে পরিবর্তন করা যাবে।
এসবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে,স এই সুবিধা পেতে গেলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। অর্থাত্ এসবিআই-এর সব গ্রাহক এই সুবিধা পাবেন না। কয়েকজন গ্রাহককেই ডেবিট কার্ড থেকে ইএমআই-তে রূপান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাকি গ্রাহকদের সরাসরি ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পুরো পেমেন্ট করতে হবে। ফলে কেনাকাটা করার আগে কোনও এসবিআই-এর গ্রাহকের ডেবিট কার্ডে ইএমআই-এর সুবিধা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিয়ে কেনাকাটা করলে সুবিধা হতে পারে। ডেবিট কার্ডে ইএমআই সুবিধা থাকলে সেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে কম টাকা থাকলেও তিনি অবাধে কেনাকাটা করতে পারবেন।
যদি কোনও গ্রাহক তাঁর ডেবিট কার্ডে ইএমআই-এর সুবিধা আছে কিনা, ত াজানতে চান, তাহলে ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত মোবাইল নম্বর থেকে 567676 নম্বরে DCEMI লিখে মেসেজ করতে হবে। এটা করার পরেই সেই গ্রাহক জানতে পারবেন, তিনি ডেবিট কার্ডে ইএমআই-এর সুবিধা পাওয়ার অধিকারী কিনা। এর জন্য সেই গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি কোনও টাকাও নেওয়া হবে না। পাশাপাশি সেই গ্রাহকের সেভিংস অ্যাকউন্টের ব্যালান্সও ব্লক করা হবে না। এর জন্য কোনও পেপার ওয়ার্কের প্রয়োজন নেই, কেননা এটি আগে থেকেই অনুমোদিত।
যদি এসবিআই-এর কোনও গ্রাহকের ডেবিট কার্ডে ইএমআই-এর সুবিধা থাকে, তাহলে সেই গ্রাহক ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেনাকাটা করতে পারেন। এরপর সেই টাকা পরিশোধ করতে সেই গ্রাহককে ৬, ৯, ১২ এবং ১৮ মাস-এর ইএমআই-এর সুবিধা দেওয়া হবে। গ্রাহককেই নিজের সুবিধা অনুযায়ী বিকল্প বেছে নিতে হবে। ২ বছরের MCLR-এর ইএমআইতে ৭.৫%-এর বেশি সুদ নেওয়া হয়, যা কিনা ১৪.৭ %-এর মতো। যদিও ব্যাঙ্কের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে যে ব্র্যান্ডগুলির বেশিরভাগ পণ্যে নো কস্ট ইএমআই অফার করা হচ্ছে। যার অর্থ গ্রাহককে জিনিস কেনার ক্ষেত্রে সুদ দিতে হবে না।